ডিজিটাল পদ্ধতিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৯তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত

941

ঢাকা, ৮ মে, ২০২০ (বাসস) : ডিজিটাল পদ্ধতিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। আজ পচিশে বৈশাখ বিশ^কবি রবীন্ত্রনাথ ঠাকুরের ১৫৯তম জন্মবার্ষিকী।
করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর বিস্তার রোধে জনসমাগম পরিহারের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসারে আজ সারাদেশে ডিজিটাল পদ্ধতিতে জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়।
এ উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ‘আমি ভয় করব না ভয় করব না’ শীর্ষক প্রায় এক ঘন্টার একটি বিশেষ অনুষ্ঠান নির্মাণ করে যা আজ বাংলাদেশ টেলিভিশন-সহ বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেলে একযোগে সম্প্রচারিত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা বাণী পাঠ করে শোনান শিল্পী ডালিয়া আহমেদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এর আগে সমবেত কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জনপ্রিয় গান ‘হে নূতন, দেখা দিক আর-বার জন্মের প্রথম শুভক্ষণ’ পরিবেশিত হয়।
রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত কবিতা ‘দুঃসময়’ আবৃত্তি করে শোনান আরেক শিল্পী মাহিদুল ইসলাম। বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী অদিতি মহসীনের কণ্ঠে ‘আমি মারের সাগর পাড়ি দেব বিষম ঝড়ের বায়ে’ পরিবেশনের পর নুনা আফরোজের রচনা, পোষাক ও মঞ্চ পরিকল্পনা এবং নির্দেশনায় ‘প্রাঙ্গণেমোর’ নাট্যদলের নাটক ‘আমি ও রবীন্দ্রনাথ’ এর অংশবিশেষ দেখানো হয়।
ডালিয়া আহমেদ আবৃত্তি করেন রবীন্দ্রনাথের আরেক জনপ্রিয় কবিতা ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর, নদে এল বান’।এরপর শিল্পী আজিজুর রহমান তুহিন গেয়ে শোনান রবীন্দ্রনাথের গান ‘যেতে যেতে একলা পথে নিবেছে মোর বাতি’ এবং মাহিদুল ইসলাম আবৃত্তি করে শোনান ‘বিপদে মোরে রক্ষা কর এ নহে মোর প্রার্থনা’। সমবেত কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীত ‘প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে মোরে আরো আরো আরো দাও প্রাণ’ পরিবেশনের পর ডালিয়া আহমেদ পুনরায় আবৃত্তি করেন রবীন্দ্রনাথের আরেক বিখ্যাত কবিতা ‘নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ’।
লিয়াকত আলী লাকী’র নির্দেশনা ও লোক নাট্যদলের পরিবেশেনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক ‘রথযাত্রা’র গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ পরিবেশনের পর ‘বাঙালি সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে রবীন্দ্রনাথের অবদান’ শীর্ষক কথিকা পাঠ করেন কৃষ্টি হেফাজ।
সমবেত কণ্ঠে জনপ্রিয় রবীন্দ্রসংগীত ‘আকাশ ভরা সূর্য-তারা, বিশ্বভরা প্রাণ, তাহারি মাঝখানে আমি পেয়েছি মোর স্থান’ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।
উল্লেখ্য, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ১৫৯তম রবীন্দ্র জয়ন্তীর এ বিশেষ অনুষ্ঠান যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও বাংলাদেশ টেলিভিশন।
অনুষ্ঠানটির গ্রন্থনা ও পরিকল্পনায় ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এস এম হারুন-অর-রশীদ। বিশেষ এ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মাহফুজা আক্তার ও উপস্থাপনা করেন নাট্য ব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান।