বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে আটকে পড়া নাগরিকদের বিশেষ বিমানে ফিরিয়ে আনবে

723

ঢাকা, ৬ মে, ২০২০ (বাসস) : বাংলাদেশ কোভিড-১৯ জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রে আটকে পড়া নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে আগামী ১৪ অথবা ১৫ মে একটি চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং নিউ ইয়র্ক ও লস এঞ্জেলস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটদ্বয়ের সাথে সমন্বয়পূর্বক কাতার এয়ারওয়েজের বিশেষ বিমানযোগে যুক্তরাষ্ট্রে আটকে পড়া বাংলাদেশী নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এই ফ্লাইটটি যুক্তরাষ্ট্র হতে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইতোপূর্বে বাংলাদেশ দূতাবাস ওয়াশিংটন, ডিসি এবং নিউ ইয়র্ক ও লস এঞ্জেলেস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের ওয়েবসাইটে যুক্তরাষ্ট্রে এসে কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আটকে পড়া বাংলাদেশী নাগরিকবৃন্দের অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী নাগরিক তাদের নিজ খরচে বিশেষ ফ্লাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার প্রত্যাশায় দূতাবাস ও কনস্যুলেটদ্বয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন করেন।
ন্যূনতম সংখ্যক যাত্রীর টিকিট ক্রয় স্বাপেক্ষে ওয়াশিংটন ডালাস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট অথবা নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি এয়ারপোর্ট হতে আগামী ১৪ অথবা ১৫ মে এই বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং নিউ ইয়র্ক ও লস এঞ্জেলেস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলদ্বয় সমন্বিতভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই ফ্লাইটের প্রতিটি ইকোনমি ক্লাস (সুলভ শ্রেণি) টিকিটের মূল্য আনুমানিক ২২০০ মার্কিন ডলার হতে পারে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
উক্ত বিশেষ ফ্লাইটে নিজ খরচে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনেচ্ছু বাংলাদেশী নাগরিকবৃন্দ আগামী ৮ মে’র মধ্যে ঢাকাস্থ ওরেক্স এভিয়েশন লিমিটেডের অনলাইন পোর্টাল http://galaxyaviationbd.com/airticket/ এর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন ও টিকিট ক্রয় করে উক্ত ফ্লাইটে আসন নিশ্চিত করতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশন ও টিকিট ক্রয় সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা ও সহযোগিতার জন্য সরাসরি ওরেক্স এভিয়েশন লিমিটেডের ই-মেইল [email protected]) অথবা হোয়াট্সএ্যাপ ফোন নম্বরে (+৮৮০১৭১৩০৯৪৬৬৪) যোগাযোগ করা যেতে পারে।
নিবন্ধিত ও টিকিট ক্রয়কৃত যাত্রীবৃন্দের চূড়ান্ত সংখ্যা নিশ্চিত হবার পরই ওরেক্স এভিয়েশন লিমিটেড ফিরতি ই-মেইল যোগে সকল যাত্রী বরাবর ইস্যুকৃত টিকিট ও ফ্লাইট সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্যাদি প্রেরণ করবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান ওরেক্স এভিয়েশন লিমিটেড এই চার্টার ফ্লাইটে ভ্রমণেচ্ছুক আটকে পড়া যাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন ও টিকিট ইস্যুকরণ সংক্রান্ত বিষয়ে কাতার এয়ারওয়েজের সাথে সমন্বয় সাধন করছে।
যে সমস্ত আটকে পড়া বাংলাদেশী নাগরিকবৃন্দ নিজ খরচে উক্ত বিশেষ বিমানযোগে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করে ওয়াশিংটন ডিসিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং নিউ ইয়র্ক ও লস এঞ্জেলেস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের দপ্তরে ই-মেইল প্রেরণ করেছেন, সে সকল আগ্রহী যাত্রীগণের তালিকা অত্র দূতাবাস হতে ওরেক্স এভিয়েশন লিমিটেড বরাবর ইতোমধ্যে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে, কেবলমাত্র দূতাবাসে এই ই-মেইল প্রেরণের মাধ্যমেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোন আগ্রহী যাত্রী এই বিশেষ ফ্লাইটে ভ্রমণের নিশ্চয়তা প্রাপ্ত হবেন না।
উক্ত বিশেষ ফ্লাইটের আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ায় ওরেক্স এভিয়েশন লিমিটেডের অনলাইন ওয়েব পোর্টাল http://galaxyaviationbd.com/airticket/ এর মাধ্যমে ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ ভিত্তিতে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন ও টিকিট ক্রয় করেই উক্ত বিমানে আসন নিশ্চিত করতে হবে।
উক্ত বিশেষ ফ্লাইটে ভ্রমণের জন্য নিন্মোক্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলী প্রযোজ্য হবে : যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর ও অঙ্গরাজ্যে অবস্থানরত সকল নিবন্ধিত ও টিকিট ক্রয়কৃত যাত্রীবৃন্দকে সম্পূর্ণ নিজ-নিজ ব্যবস্থায়/যানবাহনে/আভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে আইএডি অথবা জেএফকে বিমান বন্দরে নির্ধারিত দিন ও সময়ে এই বিশেষ চার্টার্ড ফ্লাইটে আরোহনের জন্য উপস্থিত হতে হবে। রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন ও টিকিট ক্রয়কৃত যাত্রীগণ বরাবর কাতার এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ থেকে যথাসময়ে ফ্লাইটটি ছাড়ার চূড়ান্ত দিন, ক্ষণ, বিমান বন্দরের নাম ইত্যাদি তথ্য জানানো হবে।
বিমানে ভ্রমণের জন্য প্রত্যেক যাত্রীকে নিজ দায়িত্বে অবশ্যই ‘কোভিড-১৯ মুক্ত’ অথবা ‘কোভিড-১৯ উপসর্গ-মুক্ত’ মর্মে ডাক্তারি সনদ সংগ্রহ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের যে কোন হাসপাতাল অথবা চিকিৎসকের কাছ থেকে এই সনদ সংগ্রহ করা যেতে পারে। এই সনদ বিমান যাত্রাকাল পূর্বের ৭২ ঘন্টার মধ্যে সংগৃহীত হতে হবে। ঢাকা বিমান বন্দরে অবতরণের পর সকল যাত্রীদের নিয়মমাফিক পুনরায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে এবং বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মোতাবেক বাধ্যতামূলকভাবে ২ (দুই) সপ্তাহ ‘প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন’ অথবা ‘হোম কোয়ারেন্টাইন’-এ অবস্থান করতে হবে।