ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ইংল্যান্ডের হাতে

358

ক্রাইস্টচার্চ, ১ এপ্রিল ২০১৮ (বাসস) : নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সফরকারী ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেট হাতে নিয়ে ২৩১ রানে এগিয়ে ইংলিশরা। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ৩০৭ রানের জবাবে ২৭৮ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। ফলে ২৯ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে তৃতীয় দিন শেষে ৩ উইকেটে ২০২ রান করেছে ইংল্যান্ড।
৬ উইকেটে ১৯২ রান তুলে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিলো নিউজিল্যান্ড। হাতে থাকা বাকী ৪ উইকেট থেকে আরও ৮৬ রান যোগ করতে পারে কিউইরা। টিম সাউদি ১৩ ও উইকেটরক্ষক বিজে ওয়াটলিং ৭৭ রান নিয়ে শুরু করেন। ৮৫ রানের বেশি করতে পারেননি ওয়াটলিং। তবে এক প্রান্ত আগলে ধরে মারমুখী মেজাজে টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন সাউদি। হাফ-সেঞ্চুরির পরপরই ইংল্যান্ডের পেসার জেমস এন্ডারসনের চতুর্থ শিকার হন সাউদি। ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৮ বলে ৫০ রান করেন সাউদি।
এছাড়া ইশ সোধি ১ ও শেষ ব্যাটসম্যান ট্রেন্ট বোল্ট ১৬ রান করে ইংল্যান্ডের আরেক পেসার স্টুয়ার্ট ব্রডের শিকার হন। আগের দিন ৪ উইকেট শিকার করা ব্রড আজ আরও ২ উইকেট নেন। ফলে ইনিংসে ৫৪ রানে ৬ উইকেট দখল করেন ব্রড। টেস্ট ক্যারিয়ারে এই নিয়ে ১৬তমবারের মত পাঁচ বা ততোধিক উইকেট শিকার করলেন ব্রড। এন্ডারসন ৭৬ রানে নেন নিউজিল্যান্ডের বাকী ৪ উইকেট।
মধ্যাহ্ন-বিরতির ৫ ওভার আগে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ইংল্যান্ড। এই ইনিংসেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন সাবেক অধিনায়ক অ্যালিষ্টার কুক। ১৪ রান করে নিউজিল্যান্ডের বোল্টের বলে আউট কুক।
কুকের বিদায়ের পর ইংল্যান্ডের রানের চাকা সচল রাখেন মার্ক স্টোনম্যান ও জেমস ভিন্স। এতে ইংলিশদের দলীয় স্কোর ও লিড বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে দু’জনই স্বাদ নেন হাফ-সেঞ্চুরির। তবে দলীয় ১৪৭ রানে এই জুটিতে ভাঙ্গন ধরান সাউদি। ৬০ রানে থাকা স্টোনম্যানকে বিদায় দেন সাউদি। দ্বিতীয় উইকেটে এই জুটি যোগ করেন ১২৩ রান।
কিছুক্ষণ পর উইকেট শিকারের আনন্দে আবারো মেতে উঠেন বোল্টও। ৭৬ রান করা ভিন্সের নাম উইকেট পতনের তালিকায় তুলেন বোল্ট।
১৬৫ রানে ভিন্সকে হারানোর পর আর কোন উইকেট হারাতে হয়নি ইংল্যান্ডকে। কারন অধিনায়ক জো রুট ও ডেভিড মালান অবিচ্ছিন্ন থেকে দিনের বাকী সময়ের খেলা শেষ করেন। রুট ৩০ ও মালান ১৯ রানে অপরাজিত আছেন। বোল্ট ২টি ও এন্ডারসন ১টি উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ইংল্যান্ড : ৩০৭ ও ২০২/৩, ৬৬ ওভার (ভিন্স ৭৬, স্টোনম্যান ৬০, বোল্ট ২/৩৮)।
নিউজিল্যান্ড : ২৭৮/১০, ৯৩.৩ ওভার (ওয়াটলিং ৮৫, গ্র্যান্ডহোম ৭২, ব্রড ৬/৫৪)।