বাসস দেশ-২২ : মহামারীর মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় নিরাপদ : ইকোনমিস্ট

358

বাসস দেশ-২২
ইকোনমিস্ট-র‌্যাংঙ্কিং-বাংলাদেশ-লিড
মহামারীর মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় নিরাপদ : ইকোনমিস্ট
(রিকাস্ট)
ঢাকা, ৩ মে, ২০২০ (বাসস) : শীর্ষ স্থানীয় আন্তর্জাতিক অর্থনীতি ও বৈশ্বিক সম্পর্ক বিশ্লেষণ বিষয়ক উইকলি ইকোনমিস্ট বলেছে, কোভিড-১৯ মহারারী পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে তুলনামূলকভাবে নিরাপদ রয়েছে।
ইকোনমিস্ট-এর সর্বশেষ সংখ্যায় ৬৬টি উদীয়মান অর্থনীতির দেশের হালচাল বিশ্লেষণ করে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থনৈতিক শক্তি বিবেচনায় এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান নবম। এতে দেখা গেছে দক্ষিণ এশিয়ার তিন প্রতিবেশী দেশ ভারত, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার চেয়ে বাংলাদেশ অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। সূচকের বিশ্লেষণে ভারত, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা যথাক্রমে- ১৮ তম, ৪৩ তম এবং ৬১ তম অবস্থানে রয়েছে।
সূচকের তালিকার শীর্ষে রয়েছে বোতসোয়ানা আর সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে ৬৬ তম স্থানে ভেনিজুয়েলা। ইকোনমিস্ট বলেছে, অর্থনীতির চারটি প্রশ্নকে বিবেচনায় নিয়ে ৬৬টি দেশের সবলতা-দুর্বলতা পরীক্ষা করে র‌্যাংঙ্কিং করা হয়েছে। এগুলো হলো : জনগণের ঋণ হিসেবে জিডিপির শতাংশ, বৈদেশিক ঋণ (সরকারি ও বেসরকারি উভয়ই), ঋণের সুদ ও রিজার্ভ।
শনিবার প্রকাশিত র‌্যাংঙ্কিং অনুসারে, উল্লেখিত সবগুলো সূচকে চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মেক্সিকো, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে তুলনামূলকভাবে নিরাপদে রয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলমান কোভিড-১৯ কমপক্ষে তিনটি কারণে উদীয়মান অর্থনীতির ক্ষতি করতে পারে- লকডাউনের কারণে দেশগুলোর জনগণকে আটকে রেখে, তাদের রফতানি আয়কে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং বৈদেশিক পূঁজি নিবৃত করে।
প্রতিবেদনে, বছরের দ্বিতীয়ার্ধে যদি মহামারীর প্রকোপ কমেও যায়, তবু, ক্রয়-ক্ষমতার সমতার ভিত্তিতে আইএমএফ অক্টোবরে উন্নয়নশীল দেশগেুলোর জিডিপি‘র যে পূর্বাভাস দিয়েছিল তার চেয়ে ২০২০ সালে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ কম হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৬৬টি উদীয়মান অর্থনীতিকে ২০২০ সালে তাদের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ এবং যে কোনও বর্তমান অ্যাকাউন্টের ঘাটতি মেটাতে ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার জোটাতে হবে। চীনের কথা বাদ দিলে এই হিসেব দাঁড়াবে ২ দশমিক ৯ ট্রিলিয়নে।
বাসস/জিএম/এআর/অনু-কেজিএ/২১৫৭/আরজি