বাজিস-৬ : গোপালগঞ্জে অতিবৃষ্টির কারণে জমির বাদাম নষ্ট

323

বাজিস-৬
গোপালগঞ্জ-বাদাম
গোপালগঞ্জে অতিবৃষ্টির কারণে জমির বাদাম নষ্ট
গোপালগঞ্জ, ১৬ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : অতিবৃষ্টি আর পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় গোপালগঞ্জের শতাধিক হেক্টর জমির বাদাম নষ্ট হয়ে গেছে। বাদাম পুষ্ট হওয়ার আগেই গাছের গোড়ায় পানি জমে যাওয়ার কারনে বাদাম পঁচে এলাকায় দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছেন বাদাম চাষীরা।
এসব বাদাম পানির দামে বিক্রি করতে বাধ্য হওয়ায় লোকসান গুণতে হচ্ছে কৃষকদের। এলাকার বেশীর ভাগ কৃষক এবার লোকসানে মুখে পড়েছে। আগামীতে যেন একই সমস্যায় তাদের পড়তে না হয় সেজন্য দ্রুত পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করবে কর্তৃপক্ষ এমটাই প্রত্যাশা বাদম চাষীদের।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে গোপালগঞ্জ জেলায় চিনা বাদামের চাষ করা হয়েছে ৯’শ ৫০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় চাষ হয়েছে ৭শ’ ৫০ হেক্টর। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফসল হয়েছিল ভালো। কিন্তু, গত কয়েক দিনের অতি বৃষ্টিতে বাদামের জমিতে পানি জমে যায়। এসব পানি সময় মতো নিষ্কাশন না হওয়ায় বাদামের গোড়া পঁচে গাছ মরে গেছে।
অতি বৃষ্টির কারণে জেলার সবয়েছে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সদর উপজেলার করপাড়া, কংশুর, বৌলতলী, সাতপাড়, উলপুর, গান্ধিয়াশুর গ্রামের বাদাম চাষীরা। পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্থা না থাকায় এসব গ্রামের বাদামের জমি তলিয়ে গেছে। এক মন বাদাম উৎপাদন করতে কৃষকদের খরচ হয়েছে প্রায় দুই হাজার টাকা। অথচ বাজারে ভাল মানের বাদাম মণ প্রতি আড়াই হাজার বিক্রি হলেও পানিতে নষ্ট হওয়া পরিপক্ক বাদাম বিক্রি হচ্ছে মাত্র চার’শ থেকে ছয়শ’ টাকা। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে বাদাম চাষীদের।
করপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম. বাদশা শেখ জানান, এক মণ বাদাম উৎপাদন করতে খরচ হয়েছে প্রায় দুই হাজার টাকা। অথচ বাজারে ভাল মানের বাদাম মণ প্রতি বিক্রি হচ্ছে আড়াই হাজার থেকে দুই হাজার আটশ’ টাকা। সেখানে পানিতে নষ্ট হওয়া বাদাম বিক্রি হচ্ছে চারশ’ থেকে ছয়শ’ টাকা।
গান্ধিয়াশুর গ্রামের ব্রজেন বিশ্বাস জানান. জমিতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পানি জমে বাদাম নষ্ট হওয়ায় এলাকার বেশীর ভাগ কৃষক এবার লোকসানে মুখে পড়েছে। আগামীতে যেন একই সমস্যায় না পড়েন সেজন্য তারা বৃষ্টির পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থার দাবী জানিয়েছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা হরলাল মধু বলেন, আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলেছি। তারা এসব জমিতে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
বাসস/সংবাদদাতা/১৮১০/মরপা