কোভিড-১৯ প্রতিরোধে উন্নয়নশীল-৮ ভুক্ত দেশগুলো সহযোগিতা জোরদার করবে

572

ঢাকা, ১৯ এপ্রিল, ২০২০ (বাসস) : কোভিড-১৯ মহামারী প্রতিরোধের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সনাক্ত করার পাশাপাশি মহামারী পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে কৌশল গড়ে তোলার জন্য সংহতি ও সহযোগিতা জোরদার করবে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিষয়ক সংস্থা উন্নয়নশীল-৮ (ডি-৮)।
আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল বৈঠকে ডি-৮ ভুক্ত দেশগুলো- বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান এবং তুরস্ক কোভিড-১৯ মহামারীর প্রতিকূলতাকে অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যায়ন করেছে।
কোভিড-১৯ মহামারী সংকটে সম্মিলিত সমাধান বের করার জন্য আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মগুলোতে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ ডি-৮ দেশগুলোর মধ্যে এ সভার আয়োজনের নেতৃত্ব দিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের উদ্যোগ অনুসারে, নাইজেরিয়ার আবুজা ভিত্তিক ডি-৮ স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি (ডি-৮ এইচএসপি) এবং চ্যাথাম হাউস যৌথভাবে ডি-৮ এইচএসপি-এর ফোকাল পারসনদের নিয়ে এই ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করে।
এর আগে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন ডি-৮ এর বর্তমান চেয়ারপারসন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে একটি চিঠিতে ‘এই সংকটের সময়ে সকলে মিলিতভাবে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ডি-৮ সদস্য দেশগুলোকে সক্রিয় করতে এবং ডি-৮ এইচএসপি উইন্ডোটিকে কাজে লাগানোর উপায় অনুসন্ধানের আহ্বান জানিয়েছেন।’
ভার্চুয়াল বৈঠকে সদস্য দেশগুলোর স্বাস্থ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেস্ট্রাড ইন্টারন্যাশনাল ও করভুস হেলথের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এবং চ্যাথাম হাউস, মালয়েশিয়ার প্রযুক্তি উন্নয়ন সহযোগিতা (এমটিডিসি) এবং ইরানের ইসলামিক ওয়ার্ল্ড সায়েন্স সাইটেশান সেন্টারের (আইএসসি) কর্মকর্তারা যোগ দেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সানিয়া তাহমিনার নেতৃত্বে কোভিড-১৯ ন্যাশনাল রেসপন্স টিমের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং প্রশাসকদের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিদল বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে।
বাংলাদেশের ডি-৮ কমিশনার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আন্তর্জাতিক সংস্থা) মোহাম্মদ খোরশেদ এ খাস্তগীর বৈঠকে অংশ নেন।
ভার্চুয়াল গোলটেবিলের মূল লক্ষ্য ছিল, ডি-৮ ভুক্ত দেশগুলোতে চলমান মহামারী মোকাবেলার জন্য নিজেদের মধ্যে জ্ঞান ও সম্পদ বিনিময়ের মাধ্যমে সহযোগিতার কৌশল উদ্ভাবন করা যা আমাদের কষ্ট কমিয়ে আনতে পারে।
ডি -৮-এর মহাসচিব রাষ্ট্রদূত দাতো কু জাফর কু শারি বৈঠকে বক্তব্য রাখার সময় নিজেদের মধ্যে করোনা প্রতিরোধে অংশীদারিত্ব জোরদার, অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বৈঠকে মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান ও নাইজেরিয়ার সমন্বয়ে ‘বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ’ এবং বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্ক নিয়ে ‘রিসোর্স মোবিলাইজেশন’ শীর্ষক দু’টি কার্যনির্বাহী গ্রুপ গঠন করা হয়।
পরবর্তী ডি ৮ শীর্ষ সম্মেলনের আগামী চেয়ারম্যান বাংলাদেশের অনুরোধে সভায় সদস্য দেশগুলোর জাতীয় অর্থনীতিতে কেভিড-১৯ এর প্রভাবের মূল্যায়ন শুরু করার জন্য একটি পৃথক কার্যনির্বাহী গ্রুপ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ডি-৮ আগামী মে মাসে এই সংস্থার স্বাস্থ্য মন্ত্রীদের সম্মেলন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করছে।