বগুড়ায় বোরো ধান কাটার সংকট দূর করবে যান্ত্রিক মেশিন

395

বগুড়া, ১৯ এপ্রিল, ২০২০ (বাসস) : জেলার মাঠে-মাঠে বোরো ধান আর দুই সপ্তাহ পরে পাকতে শুরু করবে। করোনারভাইরাসের কারণে ধান কাটার শ্রমিক সংকট দূর করতে অনেকটাই সহযোগিতা করবে কম্বইন্ড হারভেষ্টর (ধান কাট, মাড়াই) মেশিন। তাই জেলার কৃষি কর্মকর্তারা মনে করেন, ঝড়-বন্যায় সমস্যা না করলে জেলার কৃষকদের ধান কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবে না।
বগুড়ায় এ বছর বগুড়ায় ১ লাখ ৮৮ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এই পরিমাণ জমি থেকে উৎপাদন (চাল আকারে) লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়ে ছিল ৭ লাখ ৭৬ হাজাার টন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, তাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে অর্থাৎ ১ লাখ ৮৮ হাজার ৬১৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। জেলা কৃষি কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন এবার ৮ লাখ টন চাল উৎপাদন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন।
আবুল কালাম আজাদ কৃষকদের ধান কাটা শ্রমিক সংকট নিয়ে শোনালেন আশার কথা। তিনি জানান, সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয় ধান কাটার শ্রমিক সংকটের কথা চিন্তা করে কম্বইন্ড হারভেষ্টর (ধান কাট, মাড়াই) মেশিন, ধানের বীজ রোপনের যন্ত্র ও হাত দিয়ে শষ্য কর্তন মেশিন ভর্তুকিতে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সব মেশিন ৫০ শতাংশ ভর্তুকিতে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কৃষক যেন কম খরচে অতিদ্রুত বোরো ধান ঘরে তুলতে পারে। কম্বাইন্ড হারভেষ্টর ১০ লাখ থেকে ২৮ লাখ টাকা দাম।
এজন্য জেলার ১২টি উপজেলার কৃষকের মধ্যে ২৬টি কম্বইন্ড হারভেষ্টর, একটি শষ্যের চারা রোপন যন্ত্র ও ৪টি হস্ত চালিত ধানকাটার মেশিন বিক্রি করবে বলে জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকৌশলী আবু সাঈদ চৌধুরী। তিনি বলেন, এই মেশিন দিয়ে ধান কাটলে কাটা, মাড়াই, ঝাড়া ও বস্তা বন্দি করা যাবে এক সাথে। তাতে কৃষকের সময় যেমন বাঁচবে তেমনি খরচও কম হবে।
বগুড়া জেলায় এখন ৩২ টি কম্বাইন্ড হারভেষ্টর মেশিন চলমান আছে। এর সাথে এবছর আরো ২৬ টি মেশিন যোগ হবে। বড় মেশিন ঘন্টায় ৩ বিঘা, মাঝারি মেশিন ঘন্টায় ২ বিঘা এবং ছোট মেশিন ঘন্টায় ১ বিঘা ধান কাটতে সক্ষম।