বাসস দেশ-২৮ : ৬৩টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান

358

বাসস দেশ-২৮
বাণিজ্যমন্ত্রী- রপ্তানি ট্রফি
৬৩টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান
ঢাকা, ১৫ জুলাই ২০১৮ (বাসস) : রপ্তানি ক্ষেত্রে ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে বিশেষ অবদান রাখার জন্য মোট ৬৩টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ও সনদ প্রদান করা হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ প্রধান অতিথি হিসাবে আজ রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০১৪-২০১৫ প্রদান অনুষ্ঠানে রপ্তানিকারকদের মাঝে এ ট্রফি ও সনদ বিতরণ করেন।
২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে রপ্তানি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ২৯টি পণ্য ও ২৯টি সেবার ৩২টি খাতের রপ্তানি কারক প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান করা হয়। এবছর সর্বমোট ২৯টি স্বর্ণ, ২০ রৌপ্য এবং ১৪টি ব্রোঞ্চ পদক প্রদান করা হয়।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশের রপ্তানি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান করা হয়। ইপিজেড থেকে রপ্তানিকারকগণ এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিল। আগামীতে ইপিজেড থেকে রপ্তানিকারকদেরও জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান করা হবে।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের হাল ধরেছিলেন শূন্য হাতে। ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে পাট, চা ও চামড়া রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ৩৪৮ কোটি টাকা। আজ ১৯৯টি দেশে বাংলাদেশ ৭৭২টি পণ্য রপ্তানি করে আয় করছে প্রায় ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালে এ রপ্তানি ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। শুধু তৈরী পোশাক রপ্তানি করে আয় হবে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।’
তিনি বলেন, তৈরী পোশাক রপ্তানি থেকে গতবছর ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আয় হয়েছে ৩৩.৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য সরকার সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রপ্তানি কারকদের পলিসি সাপোর্ট ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। উৎপাদনের সাথে জড়িত শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের শ্রমিকরা এখন নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে কাজ করছে। দেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো এখন গ্রীন ফ্যাক্টরিতে পরিণত হয়েছে।’
বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী। সম্মানিত অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য।
বাসস/সবি/এমকে/১৯৫০/-শহক