করোনা মোকাবেলায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে : সেতুমন্ত্রী

650

ঢাকা, ২৩ মার্চ, ২০২০ (বাসস) : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সরকার যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
আজ সোমবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভা কক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই যুদ্ধে সামিল হতে গোটা জাতিকে আহ্বান জানাচ্ছি। তবে এখনও আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।
তিনি বলেন, ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে, সেই গুজব থেকে বিরত থাকতে হবে। সরকার যথেষ্ট আন্তরিক। তা না হলে বহুল প্রতীক্ষিত মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠান বাতিল করা হত না।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হবে সেটা কারো জানা ছিল না। এটি মোকাবেলা করার প্রস্তুতিও কারো ছিলো না। কোন দেশেরই সেটা ছিল না, আমাদেরও না।
কিটের সঙ্কটের কারণে করোনা টেস্ট করা যাচ্ছে না এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, কিট নেই এটা ঠিক না, তবে ঘটতি আছে। আরো সংগ্রহ করতে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সবকিছুর প্রস্তুতি আমাদের আছে।
সরকার তথ্য গোপন করছে, এমন অভিযোগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তথ্য গোপন কেন করব, তাহলে তো যুদ্ধে জেতার আগে হেরে যাব। সরকারের কিছু কৌশলগত বিষয় রয়েছে, চায়নাকেও সেগুলো জানানো হয়েছে। যুদ্ধ জয়ের জন্য কিছু কিছু বিষয়ে প্রয়োজনে গোপন করতে হতে পারে, সেটা ভিন্ন ব্যাপার। কিন্তু বাস্তবতাকে অস্বীকার করে কোন কিছু করা যাবে না।
এ সময়ে তিনি করোনাভাইরাস মোকাবিলাকে যুদ্ধ পরিস্থিতি হিসেবে বিবেচনা করে এ যুদ্ধে জয়ী হতে যার যার মতো নিজেকে রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সরকারের প্রতি আস্থা রেখে বৈশ্বিক যুদ্ধকালীন এ পরিস্থিতিতে বিরোধী দলকে রাজনীতি না করে এগিয়ে আসার আহবান জানান সেতুমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ করোনাভাইরাসের কারণে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের সব অনুষ্ঠান বাতিল করেছে জানিয়ে কাদের বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের সব অনুষ্ঠান বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে কোনো প্রকার খাদ্য সংকট নেই। অহেতুক মজুতকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, করোনার প্রকোপ কমাতে প্রয়োজন হলে বাস চলাচল বন্ধ করা হবে। বাস্তবতাকে অস্বীকার বা এড়িয়ে কিছু করা হবে না। যখন যে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন সে বিষয়ে শেখ হাসিনা সরকার প্রস্তুত আছে।