বাসস দেশ-২৮ : জাতীয় জীবনের যে কোন সংকটে ড. শহীদুল্লাহ্র ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করা যেতে পারে

379

বাসস দেশ-২৮
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ জন্মবার্ষিকী-একক বক্তৃতা
জাতীয় জীবনের যে কোন সংকটে ড. শহীদুল্লাহ্র ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করা যেতে পারে
ঢাকা, ১১ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : ভাষা ও সংস্কৃতিসহ জাতীয় জীবনের যে কোন সংকটে জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্র ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ এবং লাভ করা যেতে পারে অনিবার্য নির্দেশনা।
বহুভাষাবিদ ও গবেষক ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্র ১৩৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া একক বক্তৃতায় অধ্যাপক জীনাত ইমতিয়াজ আলী এ কথা বলেন।
এ মনিষার ১৩৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলা একাডেমি আজ বিকেলে এ বক্তৃতানুষ্ঠানের আয়োজন করে।
একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান সভাপতিত্ব করেন। একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান স্বাগত বক্তৃতা দেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্র পৌত্রী কবি শান্তা মারিয়া, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, আবৃত্তিশিল্পী লায়লা আফরোজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
একক বক্তা অধ্যাপক জীনাত ইমতিয়াজ আলী আরো বলেন, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্র কর্মজীবন ছিল বৈচিত্র্যপূর্ণ। তিনি অন্যান্য পেশার চেয়ে শিক্ষকতাকেই শ্রেয়তম পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন এবং অবশিষ্ট জীবনে সে পরিচয়কেই মহিমান্বিত করে গেছেন। তাঁর চিন্তাজগৎ ও সৃষ্টিকর্ম আজও আমাদের যেভাবে সমৃদ্ধ করছে, তেমনি তাঁর রচনা আমাদের আত্ম-আবিষ্কারে ভবিষ্যতেও প্রণোদিত করবে।
তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলে রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে উদ্ভূত বিতর্কে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ দ্বিধাহীন চিত্তে বাংলার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করেছেনÑ এটা তাঁর জন্য কেবল আবেগের বিষয় ছিল না বরং ভাষাবিজ্ঞানী হিসেবেও তিনি মনে করতেন মাতৃভাষার মর্যাদা যে কোনো নাগরিকের কাছে প্রথম ও প্রধান। তাঁর ভাষাভাবনা ও নানামুখী চিন্তার স্মারক তাঁর অভিভাষণগুচ্ছ।
জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ শুধু একজন প্রণম্য ভাষাবিদই নন; সেই সঙ্গে তিনি বাংলা ভাষার সংগ্রামের ক্ষেত্রে অগ্রবর্তীদেরও একজন। বাংলা ভাষার রাষ্ট্রীয় মর্যাদা বিষয়ে যেমন তিনি তাঁর জোরালো অবস্থান ব্যক্ত করেছেন তেমনি বাংলা হরফ পরিবর্তনসহ পাকিস্তান সরকারের নানা পরিকল্পনার বিরুদ্ধেও সাহসের সাথে রুখে দাঁড়িয়েছেন।
বাসস/এএসজি/এসএমএস/২০১৩/শহক