আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে : শিক্ষামন্ত্রী

402

ঢাকা, ২৯ মার্চ, ২০১৮ (বাসস) : আসন্ন উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে শিক্ষক, অভিভাবক, গণমাধ্যমসহ সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা চেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, ‘অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে এবার পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে এবং প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর লালমাটিয়া মহিলা কলেজের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী একথা বলেন।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নের খাম খোলা হবে। সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। তিনি বলেন, ‘ভুল ও বিভ্রান্তিমূলক প্রশ্ন প্রকাশ করে প্রচারণা চালানো হয়। এ ধরনের মিথ্যা প্রচারণা থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। জাতির ভবিষ্যতের স্বার্থে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’ সরকারকে ছোট করার জন্য জাতিকে হতাশ করে এমন প্রচার না করার আহবান জানান তিনি ।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের মেয়েরা পড়াশুনায় ভাল করছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও জেন্ডার সমতা অর্জিত হবে। তিনি বলেন, লালমাটিয়া মহিলা কলেজের উন্নয়নে মোট ২৩ কোটি ১০ লাখ টাকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
লালমাটিয়া মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. মশিউর রহমান, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ ও ঢাকা সাইক্লিং স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি জোবেরা রহমান লিনু এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান বক্তব্য রাখেন। পরে শিক্ষামন্ত্রী ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
এদিকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০১৮ উপলক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ বিকালে ঢাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। এতে কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর মো. মাহাবুবুর রহমান বক্তব্য দেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের হাজার বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায় হচ্ছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা । আর এ অধ্যায়ের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করেছেন। ৭ই মার্চের ভাষণে দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন এবং সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধীরা পরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যা করেছিল। শিক্ষামন্ত্রী জাতির পিতার স্বপ্ন ও আদর্শ বাস্তবায়নে সবাইকে উদ্যোগী হওয়ার আহবান জানান।