ভোলায় ৫৫২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকারিভাবে ল্যাপটপ বিতরণ

396

ভোলা, ২৯ মার্চ, ২০১৮ (বাসস) : জেলার ৭ উপজেলায় বিগত ও চলতি অর্থবছরে (২০১৬-১৭ থেকে ২০১৭-১৮) ৫৫২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকারিভাবে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস’র মাধ্যমে প্রত্যেক বিদ্যালয়ে একটি করে ল্যাপটপ প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে বিগত বছর দেওয়া হয়েছে ৮৯টি বিদ্যালয়ে ও চলতি অর্থবছরে বিতরণ করা হয়েছে সর্বাধিক ৪৬৩টি। মূলত আধুনিক, আকর্ষণীয় ও উন্নত ব্যবস্থায় শিক্ষা প্রদানের জন্য শিক্ষার্থীদের আগ্রহ সৃষ্টি করে পাঠদানই এই কার্যক্রমের উদ্দেশ্য। ফলে পড়া মুখস্থ করার চেয়ে ল্যাপটপের মাধ্যমে বড় পর্দায় তা দেখে আনন্দের সাথে আত্মস্ত করছে প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুরা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আযম মুকুল বাসস’কে জানান, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর করতে হলে সবার আগে শিক্ষা খাতের উন্নয়ন করতে হবে। তাই বর্তমান শিক্ষা বান্ধব সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে মাল্টিমিডয়া ক্লাস রুমের আওতায় আনার জন্যই এই ল্যাপটপ বিতরণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। তিনি আরো জানান, গত দুই অর্থবছরে সারা বাংলাদেশে মোট ৬২ হাজার ল্যাপটপ বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। এসব ল্যাপটপ বিতরণের ফলে বাচ্চাদের লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি ও ডিজিটাল বাংলাদেশে গড়তে সহায়তা করবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতভাগ ল্যাপটপ বিতরণ করা হবে বলে জানান এমপি মুকুল।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, জেলার মোট ল্যাপটপ বিতরণের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৬৩টি বিদ্যালয়ে বিতরণ করা হয়েছে। বোরহানউদ্দিনে ৮২টি, দৌলতখানে ৮২টি, লালমোহনে ৭৮টি, তজুমুদ্দিনে ৪৪টি, চরফ্যসনে ৯৩টি ও মনপুরায় ১০টি বিদ্যালয়ে বিতরণ করা হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিখীল চন্দ্র হালদার বাসস’কে বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সাল থেকে মূলত উপজেলা পর্যায়ে একটি করে ল্যাপটপ বিতরণ কার্যক্রম হাতে নিলেও চলতি বছর ও গত অর্থবছরে সবচে বেশি ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব ল্যাপটপ দিয়ে শিক্ষকরা ক্লাস কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। শিক্ষকরা যে বিষয়ে পাঠ দিবে সে বিষয় ল্যাপটপে প্রস্তুত করে তা শিক্ষার্থীদের মাঝে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে উপাস্থাপন করা হয়। ফলে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা উৎসাহের সাথে আনন্দঘন পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, একইসাথে তথ্য প্রযুক্তির সাথে কোমলমতি শিশুদের সংযোগ করানো হচ্ছে। যা আগামী দিনের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ডের অফিসার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশারেফ হোসেন খসরু মনে করেন, ল্যাপটপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠ দান পদ্ধতি শিক্ষা গ্রহণে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। এই পদ্ধতিতে পাঠ গ্রহণে শিশুদেরও প্রচুর আগ্রহ রয়েছে। তাই প্রতিটি বিদ্যালয়ে আরো বেশি ল্যাপটপ প্রদানের জন্য আহ্বান জানান তিনি।