করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে : প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব

250

ঢাকা, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও চিকিৎসা এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এর প্রভাব মোকাবেলায় করণীয় প্রস্তুতি ও কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উচ্চ পর্যায়ের আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার প্রস্তুতি ও কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
সভায় অর্থ সচিব, ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব, বাণিজ্য সচিব, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব উল্লেখ করেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে।
হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন সীমান্তে বাংলাদেশে প্রবেশ পথে চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত যাত্রীদের শতভাগ থার্মাল স্ক্যানিং নিশ্চিত করার জন্যও তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা প্রদান করেন।
সভায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রতিটি মন্ত্রণালয় নিজ-নিজ স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী কন্টিনজেন্ট পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, আমদানি, রফতানি ও রেমিটেন্স বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত এবং বন্দরগুলো থেকে দ্রুততম সময়ে পণ্য খালাসের লক্ষ্যে ব্যাংকিং সহায়তা, বন্দরের দক্ষতা, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নিরবচ্ছিন্ন পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিতের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
সভায় অর্থ সচিব উল্লেখ করেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিসহ সরকারের চলমান মেগা প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন ও অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ বৃদ্ধির কারণে চলতি অর্থ বছরে (২০১৯-’২০) সামগ্রিক অর্থনীতির উচ্চ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘চীনে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে তৈরি পোশাক খাতের সাপ্লাই চেইনে সাময়িক অসুবিধা হলেও তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রফতানিতে আপাতত নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই।’
সভায় বাণিজ্য সচিব জানান, চীনা নববর্ষের পূর্বেই বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা গার্মেন্টস শিল্পের আনুষঙ্গিক উপকরণ, কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক দ্রব্য এবং পিঁয়াজ, রসুন, আদাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের আমদানি আদেশ প্রদান করায় এ সকল পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে।
তিনি বলেন,‘ভারত, মিয়ানমার, মিসর ও তুরস্কসহ বেশ কিছু দেশ থেকেও এসব পণ্য আমদানি করায় দেশে আদা, রসুন এবং পিঁয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ ও মজুদ রয়েছে।’