বাসস দেশ-২৫ : চাঁদপুরে ডাকাতি মামলার রায় : ১ জনের মৃত্যুদন্ড ও ৪ জনের যাবজ্জীবন

459

বাসস দেশ-২৫
ডাকাতি মামলা-রায়
চাঁদপুরে ডাকাতি মামলার রায় : ১ জনের মৃত্যুদন্ড ও ৪ জনের যাবজ্জীবন
চাঁদপুর, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : চাঁদপুরের একটি আদালত ডাকাতি মামলায় অভিযুক্ত একজন আসামীকে মৃত্যুদন্ড এবং অপর চার আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদানের পাশাপাশি দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড দিয়েছেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের মধ্যে আবুল কাশেম নামে এক আসামীকে পৃথক এক ধারায় যাবজ্জীবন ছাড়াও অতিরিক্ত আরো ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তার উভয় দন্ড একই সময়ে কার্যকর হবে।
চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন সোমবার দুপুরে দু’জন আসামীর উপস্থিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী হচ্ছেন,চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার মজিবুর রহমান বেপারী এবং যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামীরা হলেন, মো. আবুল কাশেম, আনোয়ার হোসেন, মাহবুবুর রহমান ও কামাল।
মামলার বিবরণ অনুযায়ি, ২০০৭ সালের ২৬ জানুয়ারি রাত আনুমানিক দেড়টায় উপজেলার খেড়িহর গ্রামের মো. ফারুকের বসতঘরে মুখশধারী একদল ডাকাত অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ডাকাতি করতে আসে। ওই সময় ঘরে থাকা লোকজন টেরপেয়ে ডাক-চিৎকার করলে ফারুকের চাচাতো ভাই তাজুল ইসলাম এগিয়ে আসে। তখন উপস্থিত ডাকাতরা তাজুলকে ইট-পাটকেল মারে এবং গুলি করে হত্যার হুঁমকি দেয়। ঠিক ওই মুহুর্তে তাজুলের পিতা বুদরুছ ঘরের দরজা খুলে বের হলে ডাকাতরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যদের তান্ডবে প্রত্যেক পরিবারের লোকজন এলোমেলো অবস্থায় ছুটাছুটি করলে ডাকাতরা ফারুকের ঘরে প্রবেশ করে তার স্ত্রী ঝর্ণা বেগমের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে স্বর্নালংকার ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।
অপরদিকে গুলিবিদ্ধ তাজুল ইসলামের পিতা বুদরুছকে আহত অবস্থায় স্থানীয় পল্লি চিকিৎসক আব্দুর রহিমের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ওইদিনই শাহরাস্তি থানায় ৩৯৬ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহরাস্তি থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক মো. নুরুল আফসার ভুঁইয়া তদন্ত শেষে উপরোক্ত আসামীদের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় ২০০৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী (পিপি) মো. আমান উল্যাহ জানান, এ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী ৬জন থাকলেও আবুল খায়ের নামে একজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
প্রায় ১৪ বছর চলমান থাকা অবস্থায় এ মামলায় ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ ও নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে বিচারক ৩৯৬ ও ৪১২ ধারায় আসামীদের পৃথক সাজায় দন্ডিত করেন। দন্ডিত আসামীদের মধ্যে মজিবুর রহমান, আবুল কাশেম ও আনোয়ার হোসেন পলাতক রয়েছে এবং বাকী দু’জন আসামী মাহবুবুর রহমান ও কামালের উপস্থিতিতে আদালত এ রায় দেন।
সরকার পক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ছিলেন মোক্তার আহম্মেদ। অপরদিকে আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সেলিম আকবর, অ্যাডভোকেট আনেয়ার গাজী ও অ্যাডভোকেট রাজেশ মুখার্জি।
বাসস/সংবাদদাতা/জেডআরএম/২০৩৫/জেহক