বাসস ক্রীড়া-২১ : রান করা নিয়ে মুশফিক-তামিমের ইতিবাচক প্রতিদ্বন্দ্বিতা

235

বাসস ক্রীড়া-২১
ক্রিকেট-মুশফিকুর-তামিম
রান করা নিয়ে মুশফিক-তামিমের ইতিবাচক প্রতিদ্বন্দ্বিতা
ঢাকা, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ (বাসস): বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম সতীর্থ ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালকে নিজের ফেভারিট ব্যাটসম্যান উল্লেখ করে বলেছেন, তবে তার সঙ্গে সব সময় নিজের প্রতিদ্বন্দ্বিত চলে। তবে সেটি ইতিবাচক প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
টেস্ট ক্রিকেটে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ব্যাটসম্যান হিসেবে তামিমের শীর্ষ রান সোমবার কেড়ে নিয়েছেন মুশফিকুর। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অপরাজিত ২০৩ রান তুলে এই কীর্তি গড়েন তিনি। খর্বকায় এই ব্যাটসম্যান ৭০ ম্যাচ থেকে বর্তমানে ৪৪১৩ রান সংগ্রহ করে টপকে গেছেন ৬০ ম্যাচ থেকে তামিমের করা ৪৪০৫ রানকে।
আজ মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ডাবল সেঞ্চুরি হাকানো মুশফিকুর রহিম বলেন,‘ বাংলাদেশে তামিম আমার সবচেয়ে ফেভারিট ব্যাটসম্যান। তার সঙ্গে আমার সারাক্ষন প্রতিদ্বন্দ্বিতা লেগে থাকে। তবে সেটি ইতিবাচক প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তামিম সব সময় আমাকে অনুপ্রানীত করেন। আমিও তাকে উৎসাহিত করি। খেলোয়াড়দের মধ্যে যদি ইতিবাচক প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকে তাহলে সেটি দলকে সহায়তা করে। আমি আন্তরিকভাবে চাই তামিম যেন বাংরাদেশের সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী হতে পারেন। একই সঙ্গে আমি এটিও চাই তামিমের চেয়ে যেন এক রানে হলেও এগিয়ে থাকতে পারি। ’
মুশফিক বলেন,‘ আমাদের দলের সব ব্যাটিং রেকর্ড হয়েছে তামিমকে দিয়ে। তিনি সব সময় মাইলফলক সৃস্টি করেছেন। সম্প্রতি প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে ৩৩৪ রান করেছেন তামিম। আমি তাকে বলেছি তার ওই রেকর্ডের কছাকাছি যেতে চাই।’
মুশফিক বলেন, সাকিব ও তামিমের মত সাবলিল নন তিনি। যে কারনে সব সময় ভাল কিছু করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে থাকেন। তিনি বলেন,‘ সত্যিকার অর্থে আমি যখন টিভিতে আমার খেলার উল্লেখযোগ্য অংশ দেখি, তখন ভাল বোধ করি না। সব সময় ভাবি যদি তামিমের মত কভার ডাইভ খেলতে পারতাম কিংবা সাকিবের মত কাট শট খেলতে পারতাম..। আমি নিজের সীমাবদ্ধতা জানি, তাই ভাল করার জন্য পরিশ্রম করি।’
সেঞ্চুরি পুর্ন করার পর ডাবল সেঞ্চুরি হাকানোর ব্যাপারে প্রত্যয়ী ছিলেন মুশফিক। কারণ এ সময় উইকেট থেকে ব্যাটিংয়ের জন্য ভাল সহায়তা পাচ্ছিলেন। টাইগার দলের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন,‘ আপনি সব সময় এমন একটি দিন পাবেন না। সুযোগ পেলে আমি সব সময়ই চেস্টা করি বড় একটি ইনিংস খেলার জন্য। বিদেশের মাটিতে আমরা সচরাচর কঠিন কন্ডিশনের মুখোমুখি হয়ে থাকি। সেখানে ৫০ রান করাই কঠিন হয়ে উঠে। যে কারণে ১০০ রান করে আমি থামতে চাইনি। ডাবল সেঞ্চুরির চেষ্টা করেছি। ’
বাসস/এসএমপি/এমএইচসি/২০০৫/স্বব