মুজিব বর্ষে সকল ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেয়া হবে : নসরুল হামিদ

309

সৈয়দ শুকুর আলী শুভ
ঢাকা, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : মুজিব বর্ষে সকলের জন্য বিদ্যুত নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার গ্রিড আওতাবহির্ভুত সমগ্র এলাকাকে বিদ্যুত সীমার আওতায় আনতে কাজ শুরু করেছে। বিদ্যুত, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বাসসকে বলেন,‘বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ২০২০ সালের মধ্যে গ্রিডের আওতায় থাকা অঞ্চলে বিদ্যুত সরবরাহ করতে কাজ করে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, দেশবাসী এ বছরটাকে ‘মুজিব বর্ষ’ হিসাবে উদযাপন করবে, এরই প্রেক্ষাপটে ২০২০ সালের মধ্যে বিআরইবি ও এর সকল সমিতিও তার নিজস্ব অর্থায়নে গ্রিড সুবিধার বাইরে থাকা প্রায় ১,০৮৩ গ্রামকে বিদ্যুতের আওতায় আনবে।
নসরুল হামিদ বলেন, দেশের প্রায় ৯৬ শতাংশ লোক বর্তমানে বিদ্যুত সুবিধা পাচ্ছে, অথচ ২০০৯ সাল নাগাদ কেবল মাত্র ১৭ শতাংশ লোক বিদ্যুত সুবিধা পেত। যেখানে ২০০৯ সালে মাত্র
৪,৯৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপন্ন হতো সেখানে বর্তমানে বিদ্যুত উৎপাদন ২২,৭৮৭ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে। বিদ্যুত উৎপাদনে দেশকে আত্ম-নির্ভরশীল হিসাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োচিত নির্দেশনার উল্লেখ  করে তিনি বলেন, মুজিব বর্ষে (২০২০) প্রতিটি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুত সুবিধার আওতায় আনা হবে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে বিদ্যুত বিভাগ ‘মুজিব বর্ষ’-কে সেবা বর্ষ হিসাবে ঘোষণা করায়- আমরা প্রত্যেকের দোরগোড়ায় বিদ্যুত পৌঁছে দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ’।
বিআরইবি’র তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে গ্রাহক সংখ্যা দুই কোটি ৮৩ লাখে উন্নীত হয়েছে।
বর্তমানে চার লাখ ৮৬ হাজার কিলোমিটার বিদ্যুত সঞ্চালন লাইন রয়েছে। ৪৬১টি উপজেলার মধ্যে ৪১০টি ই শতভাগ বিদ্যুত সুবিধার আওতায় এসেছে। বাকী ৫১টি উপজেলা ‘মুজিব বর্ষ’র মধ্যে শতভাগ বিদ্যুত সুবিধার আওতায় আসবে।
এদিকে আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছে, আগামী ৫ বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশে উন্নীত হবে। ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে, ঐ বছরই দেশের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপিত হবে ।
২০২০ সাল নাগাদ সকলে বিদ্যুত পাবে এবং ২০২৩ সাল নাগাদ বিদ্যুত উৎপাদন ক্ষমতা পৌঁছবে ২৮ হাজার মেগাওয়াটে ও ৫০০০ সিএফটিএলএনজি সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।