রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায় বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের প্রতি বাংলাদেশের আহবান

401

ঢাকা, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাহাব ফাতিমা বলেছেন, রোহিঙ্গা জনগণের নিরাপত্তা, মর্যাদা ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়ার পূর্ব শর্ত হচ্ছে, ন্যায় বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
তিনি বৃহস্পতিবার “শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং টেকসই শান্তি”:যুদ্ধ এবং যুদ্ধ পরবর্তী পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন ন্যায় বিচার” শীর্ষক নিরাপত্তা পরিষদে এক উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন। আজ এখানে পাওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানা যায়।
তিনি এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে দেশগুলোর জন্য ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অপরাধের বিচারে সংগঠিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে রোহিঙ্গা জনগনের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের মানবাধিকার লংঘন ও নৃশংস অপরাধের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক অপরাধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। তিনি গত ২৩ জানুয়ারির আইসিজে’র আদেশকে এই ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী উন্নয়ন হিসাবে বর্ণনা করেন।
রাষ্ট্রদূত নিরাপত্তা পরিষদের নারী শান্তি ও নিরাপত্তা এবং যুব,শান্তি ও নিরাপত্তা এজেন্ডার প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গিকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, আমরা সশস্ত্র সংঘর্ষের সময়ে নারী ও শিশু’র বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের বহুমুখি প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন দানে অঙ্গিকারাবদ্ধ।
তিনি বিশ্বের সংঘর্ষময় এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি কার্যক্রমে বাংলাদেশের অবদানের কথাও উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, যুদ্ধোত্তর পরবর্তী পরিস্থিতিতে মুক্তি,জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং বিরোধ ও অতিত স্বৈরাচার বৃত্ত ভেঙ্গে দেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি এ ক্ষেত্রে অসমতা, বৈষম্য, বর্জন এবং একটি সমাজে সহিংসতা ও সংঘর্ষের কারণ উদঘাটন করে প্রতিরোধের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
নিরাপত্তা কাউন্সিলের সভাপতি হিসাবে বেলজিয়াম এই বিতর্কের আয়োজন করে।