জয়পুরহাটে চলছে আলু তোলার ধুম, দাম ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষক

439

জয়পুরহাট , ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ (বাসস) : আলু চাষে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটের সর্বত্র এখন চলছে আলু তোলার ধুম। অন্যান্য বারের তুলনায় বাজারে এবার আলুর দাম ভালো পাওয়ায় আলু চাষীরা খুশি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বাসস’কে জানায়, চলতি ২০১৯-২০ মৌসুমে জেলায় ৩৮ হাজার ৩২৫ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৭ হাজার ৯১৭ হেক্টর । ৪০৮ হেক্টর বেশি জমিতে এবার আলুর চাষ হয়েছে। জেলায় এবার আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন। আলু উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা হিসেবে পরিচিত উত্তরাঞ্চলের ছোট জেলা জয়পুরহাটে আলু চাষ সফল করতে আমন ধান কাটা মাড়াই শেষ করেই স্থানিয় কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় আলু চাষে কৃষকরা ঝাপিয়ে পড়ে।
কৃষি বিভাগ আরো জানায়, জেলায় আলু চাষ সফল করতে কৃষক পর্যায়ে প্রশিক্ষণসহ উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছে। বিএডিসি’র পক্ষ থেকে কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের আলু বীজ সরবরাহ করা হয়েছে এবং বর্তমানে জেলার উপর দিয়ে বয়ে চলা শৈত প্রবাহের ফলে আলু ক্ষেতের যাতে ক্ষতি না হয় সে জন্য কৃৃষক পর্যায়ে পরামর্শ প্রদান করার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক তদারকি করেন বলে জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ স ম মেফতাহুল বারি। অন্যান্য বছর আলু তোলার সময় ৬/৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এবার বাজারে আলু প্রকার ভেদে ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত কেজি বিক্রি হওয়ায় কৃষকরা খুশি বলেও জানান তিনি।
কৃষি বিভাগ জানায়, জয়পুরহাটের আলু উন্নত মানের হওয়ায় দেশের গন্ডি পেরিয়ে ৯ টি দেশে রপ্তানী করা হয়েছিল গত বছর। দেশ গুলো হচ্ছে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত, নেপাল ও রাশিয়া। এবারও দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করার পাশাপাশি দেশের বাইরে আলু সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রাচীন বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে পরিচিত জয়পুরহাট জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমাণ জমিতে আলুর চাষ হয়ে থাকে। গত বছর ৪২ হাজার ৫শ ৩০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। এতে আলু উৎপাদন হয় ৮ লাখ ১৫ হাজার মে: টন। ফলন ভালো হওয়ায় জেলায় গ্যানোলা, মিউজিকা, ডায়মন্ড, এস্টোরিকস, কার্ডিনাল, ও রোজেটা জাতের আলু বেশি চাষ করে থাকেন কৃষকরা। জেলার ১৫ টি কোল্ড ষ্টোরেজে প্রায় দেড় লাখ মে: টন আলু রাখা সম্ভব হয় বলে জানায়, কৃষি বিভাগ।