বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সৌদি আরবের বিনিয়োগ চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী

377

ঢাকা, ১২ ফেব্রুয়ারি,২০২০ (বাসস) : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাতে সরকার বিপুল পরিমাণ বিদেশী বিনিয়োগ প্রত্যাশা করছে। বিশেষ করে সৌদি আরবের আরামকোর সহায়তা আশা করছি।
বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর অর্থমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সৌদি শ্রম ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রী মাহির আবদুল রহমান আল গাসিমের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সৌদি আরব যৌথ কমিশনের ১৩তম সভায় যোগ দিতে মাহির আবদুল রহমান আল গাসিমের নেতৃত্বে একটি সৌদি প্রতিনিধিদল বর্তমানে ঢাকা সফর করছে। আজ থেকে যৌথ কমিশনের দু’দিনব্যাপী সভা শুরু হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশে ১শ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে, যেখানে আরো বিদ্যুৎ ও জ্বালানীর দরকার হবে। তিনি বলেন,‘সৌদির বড় বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আরামকো কে আমরা বিনিয়োগের অনুরোধ করেছি। তারা এ ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করতে চাই।’
আরামকো বা সৌদি এ্যারাবিয়ান ওয়েল কোম্পানি হলো সৌদির জাতীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি। ব্যবসার আকারের দিক থেকে এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ জ্বালানী কোম্পানি।
মুস্তফা কামাল বলেন,বাংলাদেশ এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে আমরা বিদেশে অদক্ষ শ্রমিকের পাশাপাশি দক্ষ শ্রমিকও পাঠাতে পারে। দক্ষ শ্রমবাজার গড়ে তুলতে সরকার শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন, সৌদি আরবের সাথে অর্ধ শতাব্দীর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এখন বন্ধুত্বে রুপান্তরিত হয়েছে। যার পেছনে রয়েছে সৌদি আরব ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব। বাংলাদেশ এখন বন্ধুত্বের উর্ধ্বে ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর অংশীদারিত্ব’ ধরে রাখার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
বাংলাদেশের সাথে সৌদি আরবের সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে উল্লেখ করে সেদেশের শ্রম ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রী মাহির আবদুল রহমান আল গাসিম বলেন,‘গত তিন-চার বছরে সৌদি-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। এর পেছনে রয়েছে দু’দেশের নেতৃবৃন্দের আন্তরিক মনোভাব।’
তিনি বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে সৌদি সরকারের আগ্রহ প্রকাশ করেন।