ইন্টারনেটের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে : আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

1782

ঢাকা, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ইন্টারনেটের পজেটিভ অর্থাৎ নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করতে সকলে মিলে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ রাজধানীর আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে বিসিসি মিলনায়তনে ‘নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস-২০২০’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা এবং অনলাইন সেফটি ফর চিলড্রেন সার্টিফিকেশন কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই আহ্বান জানান।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ইন্টারনেট বা সোশ্যাল মিডিয়াতে কোন বিষয় শেয়ার করার পূর্বে এর ভালমন্দ দিক ভাবতে হবে। জ্ঞান আহরণ ও জ্ঞানের বিশাল দুনিয়াতে প্রবেশ করতে ইন্টারনেটের বিকল্প নেই। মেধা ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বকে জয় করতে হবে।’
তিনি দ্রুত যোগাযোগের জন্য ইন্টারনেট অপরিহার্য উল্লেখ করে বলেন, ডিজিটাল ডিভাইজ ব্যবহারের বিষয়ে বাবা ও মায়েদের গুরু দায়িত্ব পালন করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন কিছু পোস্ট করা, ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট পাঠানো এবং গ্রহণের পূর্বে যাচাই বাছাই করে সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রতিমন্ত্রী ইন্টারনেটের নিরাপদ ব্যবহার ও তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহারের বিষয়ে সচেতন হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
পলক বলেন, বাংলাদেশ জুড়ে এই কোর্সে অংশগ্রহণকারী ১০ লাখ স্কুল শিশু নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার সংক্রান্ত সনদ পাবে। আগামি এক বছরের মধ্যে, যা কেবল তাদের অনলাইন অভিজ্ঞতাকেই নিরাপদ করবে না, দেশকেও নিয়ে যাবে একটি অনন্য বিশ্ব রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে।
পরে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী অনলাইন সেফটি ফর চিলড্রেন সার্টিফিকেশন কোর্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এবং দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত প্রশ্ন উত্তর পর্বে ৫জন বিজয়ী শিক্ষার্থীর মাঝে ৩০ হাজার করে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন।
প্যানেল আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফেইসবুকের ইন্ডিয়া, সাউথ এশিয়া এবং সেন্ট্রাল এশিয়া’র হেড অব পলিসি প্রোগ্রামস সেলি তাকরাল এবং বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
এছাড়া আইসিটি বিভাগ ও এর আওতাধীন দপ্তর বা সংস্থা এবং ইউনিসেফ -এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, অনলাইন বিষয়ক ক্রমবর্ধমান সমস্যা ও প্রবণতা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ২০০৪ সাল থেকে এই দিবসটি পালিত হচ্ছে।