বাজিস-২ : ভোলায় ব্যস্ত ছাতার কারিগররা

364

ভোলা, ১০ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : চলছে আষাঢ় মাস, বর্ষাকাল। আর এতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন জেলার ছাতার কারিগররা। আষাঢ়-শ্রাবণ এ দুই মাসে প্রায় সারাবেলাই বৃষ্টিপাত হতে থাকে। তাই বৃষ্টির হাত থেকে সু-রক্ষা পেতে ছাতার কোন বিকল্প নেই। নতুন ছাতা কেনার পাশাপাশি অনেকেই পুরানো ছাতা মেরামত করতে ছুটছেন কারিগরদের কাছে।
শহরের সদর রোড, নতুন বাজার, চকবাজার, জুগির খোল, কালীনাথ রায়ের বাজার, বাসস্ট্যন্ড, বাংলাবাজার, গুইংগার হাট, ইলিশা বাজারসহ বেশ কিছু এলাকায় ছাতা কারিগরদের ব্যস্ততা লক্ষ্য করা গেছে। বছরের অন্যান্য সময়ে খুব একটা কাজ না থাকলেও এ দুমাস তাদের ব্যস্ত থাকতে হয় সারাক্ষণ। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করে হাজার টাকারও বেশি থাকে বলে জানালেন কয়েকজন ছাতার মিস্ত্রী।
তারা আরো জানান, বছরের অন্যান্য সময়ে ছাতার ব্যবহার হয়না বল্লেই চলে। কিন্তু বর্ষা মৌসম এলেই এর কদর বেড়ে যায় বহুগুণ। পুরানো ছাতা দীর্ঘদিন ব্যবহার না করা ফলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। আর তাই এ সময়টাতে ছাতা সারাতে তাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। ছাতা সারাতে প্রকারভেদে ৩০টাকা থেকে দেড়শ’ টাকা কিংবা তার চেয়েও বেশি লাগে বলে কারিগররা জানান।
নতুন বাজার এলাকায় ছাতা ঠিক করতে আসা ফরিদ হোসেন বলেন, এবছর আষাঢ় মাসের শুরু থেকেই টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আর এখন যেহেতু আষাঢ় মাস, তাই ছাতা ছাড়া পথচলা কঠিন হয়ে পড়্ায় ছাতা মেরামত করতে এসেছেন তিনি। কলেজ ছাত্র সাকিল হালদার ও রবিন ঘোষ বলেন, বৃষ্টির মধ্যে বেশিরভাগ সময়ই রিকশা গাড়ি পাওয়া যায়না। তখন বাধ্য হয়েই ছাতা মাথায় দিয়ে বেড়িয়ে পরতে হয়।
সদর রোডের ছাতার মিস্ত্রী নূরে আলম জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে টানা বৃষ্টিতে তাদের রোজগার বেশ ভালো হচ্ছে। বছরের অন্য সময় কেউ কেউ ভিন্ন পেশায় চলে যায়। এসময়ের উপার্জন দিয়েই মূলত তাদের সারা বছর চলতে হয়। এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাটবাজার ও গ্রামীণ জনপদগুলোতেও ছাতার কারিগরদের ব্যস্ততার খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ছাতার দোকানেও ছাতার বিক্রি বেড়ে গেছে।