বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : মন্ত্রিসভায় জাতীয় কৃষিনীতি ২০১৮’র খসড়া অনুমোদন

197

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-কেবিনেট
মন্ত্রিসভায় জাতীয় কৃষিনীতি ২০১৮’র খসড়া অনুমোদন

মন্ত্রিসভা আজ বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আইন-২০১৮ এর খসড়াও অনুমোদন দেয়।
১৯৭৬ সালের একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে এতদিন বাংলাদেশ শিশু একাডেমি পরিচালিত হচ্ছিল উল্লেখ করে শফিউল আলম বলেন, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এবং মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সামরিক শাসনামলে জারিকরা অধ্যাদেশগুলোকে বাংলায় রূপান্তর করে নতুন আইন প্রণয়নের বাধ্যবাধকতা থেকেই এটি বাংলায় অনুবাদ করে নতুন আইন হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছে।
তিনি বলেন, নতুন আইনে বড় রকমের কোন পরিবর্তন নেই। একটি নতুন ধারা এখানে সন্নিবেশন করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সেটি হচ্ছে পরিচালনা ও প্রশাসন সম্পর্কিত একটি ধারা। সেই ধারা মোতাবেক সাধারণ পরিচালনা ও প্রশাসনের দায়িত্ব বোর্ডের ওপর ন্যস্ত থাকবে এবং একাডেমি যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করতে পারবে- বোর্ড ও সেকল ক্ষমতার প্রয়োগ ও কার্যসম্পাদন করতে পারবে।
তিনি বলেন, এটি পরিচালনার জন্য ১৭ সদস্যের একটি বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। যেখানে একাডেমির চেয়ারম্যান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পর্যায়ের একজন প্রতিনিধি, অর্থ এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একজন করে প্রতিনিধি, তথ্য এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের একজন করে প্রতিনিধি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং শিশুকল্যাণ বিভাগের একজন করে প্রতিনিধি, শিশুদের কল্যাণে অবদান রাখেন এমন ব্যক্তিদের মধ্যে থেকে সরকার মনোনীত চারজন ব্যক্তি-যাদের দু’জন হবেন মহিলা এবং একাডেমির মহাপরিচালক। এর সঙ্গে আইসিটি বিভাগের একজন প্রতিনিধি যুক্ত করার জন্যও নতুনভাবে বলা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, একাডেমিক কার্যাবলী আগে যা ছিল প্রায় তাই থাকবে, কেবল সামান্য কিছু পরিমার্জন করা হয়েছে। শিশুর বিকাশ ও কল্যাণে ভূমিকার জন্য শিশু একাডেমি থেকে সাম্মানিক ফেলোশিপ প্রদানেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, একটি বিধি অনুযায়ী চেয়ারম্যানের নিয়োগের হবে, যে বিধি প্রণয়নের কাজ এখনও চলছে।
ভাষা, সাহিত্য বিজ্ঞান, শিল্পকলা, সামাজিক বিষয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে এমন ব্যক্তিবর্গই সরকার কতৃর্ক চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন। যিনি সরকারি কর্মচারিও হতে পারেন বলে সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
এই আইনের ১০ ধারায় মহাপরিচালক নিয়োগের বিধান রাখা হয়েছে- মহাপরিচালক একজন সার্বক্ষণিক কর্মকর্তা হবেন এবং তার চাকরির শর্তাবলী অনুযায়ী পরিচালিত এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত হবে বলেও ব্রিফিংয়ে জানানো হয়।
প্রতি ছয় মাসে কমপক্ষে একবার বোর্ডের সভা হতে হবে এবং এই সভা কোথায় কখন কিভাবে হবে তা চেয়ারম্যান কতৃর্ক নির্ধারিত হবে। আর কোরামের জন্য এক তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতি থাকতে হবে। চেয়ারম্যান সার্বক্ষণিক হবেন না, বোর্ডসভা যখন থাকে তখন তিনি দায়িত্ব পালন করবেন।
এছাড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রীর অস্ট্রেলিয়া সফর, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীর জাপান সফর, জন প্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর সংযুক্ত আরব আমিরাতে সিক্সথ ওয়ার্ল্ড গভর্মেন্ট সামিটে অংশগহণ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর এস্তোনিয়াতে ই গর্ভার্নেন্স কনফারেন্স-২০১৮ তে অংশ গ্রহণ সম্পর্কে অবহিত করা হয়।
বাসস/এএসজি-এফএন/১৬৫০/আরজি