ঢাকা সিটি নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রায় ৫০ হাজার ফোর্স মোতায়েন

647

ঢাকা, ৩০ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ৫০ হাজার সদস্য মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এদের মধ্যে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ ও আনসার নিয়োজিত থাকছে এবং বিজিবি, র‌্যাব ও নৌ-পুলিশ নির্বাচনী এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন বাহিনী আজ সকাল থেকেই ভোটের দায়িত্বে নিজ নিজ সদস্যদের নির্দিষ্ট জায়গায় মোতায়েন করেছেন।
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৬ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ জন করে বিভিন্ন বাহিনীর ফোর্স মোতায়েন থাকবেন।
সাধারণ কেন্দ্রে একজন এসআই অথবা এএসআই’র নেতৃত্বে চারজন পুলিশ সদস্য, অস্ত্রসহ আনসার দু’জন ও ১০ জন অঙ্গীভূত আনসার মোতায়েন থাকবেন। আর গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পুলিশের সংখ্যা দুইজন বেশি থাকছে।
দুই সিটিতে দুই হাজার ৪৬৮ কেন্দ্রের মধ্যে ১ হাজার ৫৯৭টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ। আর সাধারণ কেন্দ্র রয়েছে ৮৭১টি। এই হিসেবে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়োজিত থাকবে আনসার ও পুলিশের ৪২ হাজার ৬৮২ জন সদস্য।
আর ভোটের এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য ৭৫ প্লাটুন বিজিবির ২ হাজার ২৫০ জন জোয়ান নিয়োজিত রয়েছে।
এছাড়া পুলিশ ও এপিবিএন সমন্বয়ে ১২৪টি ভ্রাম্যমাণ ও ৪৩টি স্ট্রাইকিং টিম, র‌্যাবের ১২৯ টিম নিয়োজিত থাকছে। অর্থাৎ র‌্যাব, পুলিশ, এপিবিএন স্ট্রাইকিং ও ভ্রাম্যমাণ টিম মিলিয়ে প্রায় ৪ হাজারের মতো ফোর্স মোতায়েন থাকছে। সব মিলিয়ে এ নির্বাচনে ৫০ হাজারের মতো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন।
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বাসসকে জানান, এছাড়াও প্রয়োজনে মাঠ প্রশাসন তাৎক্ষণিক যেখানে যেমন দরকার সে অনুযায়ী যেকোনো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়োজিত করার নির্দেশনা দিয়ে রেখেছেন নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনী আচরণ বিধি প্রতিপালন ও অপরাধের বিচার কাজের জন্য দুই সিটিতে ১২৯ জন নির্বাহী হাকিম ও ৬৪ জন বিচারিক হাকিম নিয়োগ করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটিতে ৫৪ জন ও দক্ষিণ সিটিতে ৭৫ জন নির্বাহী হাকিম আজ থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে থাকবেন।
এছাড়া উত্তর সিটিতে ২৭ জন ও দক্ষিণে ৩৭ জন বিচারিক হাকিম দায়িত্ব পালন করবেন আজ থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত।