কুমিল্লায় সবজির উৎপাদন দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে

465

কুমিল্লা (দক্ষিণ), ২৮ জানুয়ারি, ২০২০, (বাসস): আধুনিক প্রযুক্তি, সময়োপযোগী কৃষিনীতি আর কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে বদলে গেছে কুমিল্লার কৃষির চিত্র। দেড় যুগ ধরে কৃষিক্ষেত্রে কুমিল্লা জেলায় সবজি চাষে নীরব বিপ্লব ঘটেছে। সবজির উৎপাদন দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষকদের আয়ও বেড়েছে।
কুমিল¬ার চান্দিনা, বুচিড়ং, বরুড়া, দাউদকান্দি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চলতি বছর ব্যাপক শীলকালীন সবজি চাষ হয়েছে। উল্লেখযোগ্য হল ফুলকপি, বাঁধাকপি, লালশাক, লাউ, শিম, বেগুন, পটল, মূলা, আলু, টমেটো, পালংশাকসহ হরেক রকমের কাঁচা তরিতরকারি। এসব সবজি শীতল আবহাওয়ায় সবচেয়ে ভাল হয়। কৃষকরা এসব সবজি চাষ করে কম সময়ে অধিক লাভবান হওয়ার দিন দিন চাহিদা বেড়েই চলছে। এসময় শীতকালীন শাক-সবজির দাম বেশি হয়ে থাকে। সেই কারণে কৃষকরা সবজি চাষে ব্যস্ত সময় কাটায়। মুনাফার আশায় কৃষকরা এবছরও প্রচুর পরিমান সবজি চাষ করছেন। আভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগের উন্নয়ন ও সুষ্ঠু পরিবহন ব্যবস্থার কারণে কৃষকরা এখন সহজেই উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে পারছে। এ কারণে কৃষি কাজ এখন লাভজনক পেশায় পরিণত হয়েছে। যদিও সার, বীজসহ আনুষঙ্গিক পণ্যসামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির কারণে মাঝে মধ্যেই কৃষকরা হোঁচট খায়। তবে পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা গেলে কৃষকরা আরও অধিক জমিতে সবজি চাষে আগ্রহী হবে বলে জানান এলাকার কৃষকরা। আর তা সম্ভব হলে উপজেলার কৃষিখাত আরও সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে। বর্তমানে কুমিল্ল¬া জেলার চান্দিনা উপজেলার ছায়কোট, শ্রীমন্তপুর, চান্দিয়ারা, পিহর এসব এলাকার যেদিকেই দৃষ্টি দেয়া যায় সেদিকেই সবুজের সমারোহ। এসব গ্রামের চাষীরা সবজি চাষে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
সবজির মধ্যে বর্তমানে শিম, লাউ, পটল, বেগুন অধিক লাভজনক। শিম ও বেগুন চাষে লাভ বেশি হওয়ায় অনেকেই এতে উৎসাহিত হচ্ছেন। মিষ্টি কুমড়া, কচু, আলু ইত্যাদি ফসলের প্রতিও কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। কম সময়ে সবজি চাষে বেশী লাভ হয় বলে অনেকে ঝুঁকে পড়ছেন সবজি চাষে। শ্রীমন্তপুর গ্রামের কৃষক আলী মিয়া জানান, এক কানি জমিতে বেগুন চাষ করলে খরচ হয় ১৫-২০ হাজার টাকা। এ জমিতে ২ থেকে আড়াইশত মণ বেগুন হয় । এতে প্রায় দেড় লাখ টাকা লাভ আসে। এ বছর সবজির দাম বেশি পাওয়ায় অনেক কৃষকের ভাগ্য বদলে গেছে।
কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের সুরজিত চন্দ্র দত্ত বলেন, কৃষি স¤প্রসারণ বিভাগের নজরদারি ও উপজেলা পর্যায়ে চাষীদেরকে কৃষি কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ, পরামর্শসহ সবধরণের লজিষ্টিক সার্পোট দেওয়াতে এবং আবহাওয়া সময উপযোগী হওয়ায় এবারে লক্ষ্যমাত্রা অনেক ছাড়িয়ে যাবে।