বাসস সংসদ-৭ : আত্মপ্রত্যয়ী নেতৃত্বে জনকল্যাণমুখী আধুনিক বাংলাদেশ বর্তমান বিশ্বের বিস্ময় : সরকারি দল

223

বাসস সংসদ-৭
রাষ্ট্রপতির ভাষণ-আলোচনা
আত্মপ্রত্যয়ী নেতৃত্বে জনকল্যাণমুখী আধুনিক বাংলাদেশ বর্তমান বিশ্বের বিস্ময় : সরকারি দল
সংসদ ভবন, ২৭ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেছেন, শত বাধা আর ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে শেখ হাসিনার আত্মপ্রত্যয়ী নেতৃত্বে জনকল্যানমুখী আধুনিক বাংলাদেশ বর্তমান বিশ্বের বিস্ময়।
গত ৯ জানুয়ারি চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে সরকারি দলের সদস্য আ স ম ফিরোজ তা সমর্থন করেন।
গত ৯ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ ও এ বছরের প্রথম অধিবেশনের শুরুর দিন সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সংসদে ভাষণ দেন।
রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আজ আলোচনায় অংশ নেন সরকারি দলের মো.আবছারুল আমীন, নেছা আহমেদ, আবু জাহির, মো.মাজাহারুল হক প্রধান, সেলিম আলতাফ জর্জ, আনোয়রুল আবদীন আনার, আহাসানুল ইসলাম টিটু, মো. মোজ্জাফফর হোসেন, বেগম জাকিয়া পারভিন, বেগম ফেরদৌসি ইসলাম, জাতীয় পার্টির বেগম নাজমা আক্তার।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের আফছারুল আমীন বলেণ, আওয়ামী লীগ সরকারের নেয়া বিভিন্ন বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প সফলতার কথা উল্লেখ করে বলেন, রাজস্ব ও মুদ্রা খাতে অনুশ্রিত নীতির ফলে গত অর্থবছরে মুদ্রাস্ফীতির হার ৫.৫ শতাংশ রাখা সম্ভব হয়েছে। ২০০৯ থেকে ‘১৮- ’১৯ পর্য়ন্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে আহরিত রাজস্বের পরিমান চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা বর্তমান সরকারে সাফল্য। সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে দরিদ্রমুক্ত উন্নত বাংলাদেশ গড়তে ভিষণ ২০২১ ও ২০৪১ প্রণয়নের কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সরকার সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ( এমডিজি) অর্জনে অনেক সফলতা অর্জন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৮২ শতাংশ সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। আর অষ্টম পঞ্চম বার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ চলছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যোগ্য উত্তরসূরি উল্লেখ করে বলেন, সব বাধা ও ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে তার আত্মপ্রত্যয়ী নেতৃত্বের কারণে জনকল্যানমুখী আধুনিক বাংলাদেশ বর্তমান বিশ্বের বিস্ময় ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের অন্যান্য সদস্যরা বলেন, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা, আইনের শাসন ও অব্যাহত আর্থসামাজিক উন্নয়নে সকল রাজনৈতিক দল, শ্রেণি ও পেশা নির্বিশেষে সবাই আজ একতাবদ্ধ। সুশাসন ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপায়ন এবং সমাজের সকল স্তরে জনগণের সর্বাত্মক অংশগ্রহণের মাধ্যমে “এ বছর আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে মধ্য-আয়ের দেশ হিসেবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবো।
বাসস/এমআর/২০২০/-অমি