বাসস দেশ-৩৪ : রাজধানীতে অপহৃত দুই ছাত্র উদ্ধার : গ্রেফতার ৮

221

বাসস দেশ-৩৪
অভিযান- গ্রেফতার
রাজধানীতে অপহৃত দুই ছাত্র উদ্ধার : গ্রেফতার ৮
ঢাকা, ২৬ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস): রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অপহৃত দুই ছাত্রকে উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসময় অপহরণকারী চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
তারা হচ্ছে- মো. ফকর উদ্দিন, মাহমুুদুর রহমান রাসেল, মো. রশিদুজ্জামান ওরফে তুষার, মো. শফিকুল ইসলাম,এইচ এম মশিউর রহমান ওরফে পাপ্পু, ইমতিয়াজ আহমেদ, আরিফুল ইসলাম ওরফে নিশান ও মো. আব্দুল্লাহ আল নোমান । এসময় তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, পুলিশের নকল পোশাকসহ বিভিন্ন সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. আবদুল বাতেন বাসসকে এ তথ্য জানান।
অপহরণ সম্পর্কে তিনি বলেন, কুড়িগ্রাম জেলা আইজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলামের ছেলে তানজিম আল-ইসলাম দিবস ও তার শ্যালক খালিদ হাসান ধ্রæব গত ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে অপহৃত হয়। অপহৃত তানজিম আল ইসলাম দিবস নগরীর ধানমন্ডির ভার্টিক্যাল হরিজন (ভিএইচ) ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ‘এ’ লেভেল এবং খালিদ হাসান ধ্রæব ঢাকা কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র।
ওইদিন মঙ্গলবার সকালে জিগাতলারবাসা থেকে মহাখালী ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে যান তানজিম। দুপুর ২টার দিকে তার বোনের সাথে সর্বশেষ কথা হয়।
তিনি বলেন, মোহাম্মদপুরে কাজ শেষে মামা খালিদ হাসান ধ্রæবকে নিয়ে বাসায় ফিরবেন। এরপর তানজিমের বাবা ফখরুল ইসলাম ও বোন কয়েক দফায় তার মোবাইল ফোনে কল করে সেটি বন্ধ পান। পরদিন বুধবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে অপরিচিত এক ব্যক্তি তানজিমের মাকে ফোন করে জানায় তানজিম ও তার মামা ধ্রæবকে অপহরণ করা হয়েছে। এসময় অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং শুক্রবার বিকেল ৫টার মধ্যে মুক্তিপণ দিতে হবে, না দিলে তানজিম ও তার মামা ধ্রæবকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। এ বিষয়ে তানজিমের বাবা মোহাম্মদপুর থানায় একটি জিডি করেন।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, অপহরণের অভিযোগ পেয়ে গতকাল শনিবার রাতে গোয়েন্দা (পশ্চিম) বিভাগের একটি দল রাজধানীর ডেমরা, মতিঝিল ও মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে। এ সময় অপহৃত দুইজনকে উদ্ধার করা হয়।
আবদুল বাতেন বলেন, গ্রেফতারকৃতরা পেশাগত অহরণকারী চক্র। এর আগে তারা অপহরণ করে সাজা ভোগ করেছে। অপহরণের শিকার তানজিমের বাবা তাদের পক্ষের আইনজীবী ছিলেন। সে সুবাদে অপহরণকারীদের তাদের পরিবার সম্পর্কে বিস্তর ধারণা ছিল। এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে তারা তানজিম ও তার মামা ধ্রæবকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে।
বাসস/এমএমবি/২০২৫/কেজিএ