ভারত-বাংলাদেশ চিত্র প্রদর্শনীতে বিপুল দর্শনার্থীর সমাগম

598

“আমিনুল ইসলাম মির্জা”
নয়াদিল্লী, ২৫ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : ইন্ডিয়া হ্যাবিট্যাট সেন্টারে ভারত-বাংলাদেশ চিত্র প্রদর্শনীতে বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীর সমাগম হয়েছেন। বিভিন্ন বয়সের চিত্র প্রেমীরা দুই দেশের প্রখ্যাত শিল্পীদের এই শিল্পকর্ম দেখতে ভেন্যুতে এসেছেন।
বৃহস্পতিবার ‘কনফ্লুয়েন্স: সেলিব্রেটিং ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ প্রিন্টমেকিং’ শীর্ষক নয় দিনব্যাপী এই চিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। প্রিন্টমেকিং শিল্পকলার বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়ে বহুমুখী সৃজনশীল অভিজ্ঞতার পথ সুগম করার লক্ষে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
প্রিন্টমেকিং হচ্ছে চিত্রকর্ম তৈরির বিভিন্ন উপদান বিন্যাসের একটা ধরন। এগুলো সাধারণত কাগজেই তৈরি করা হয়, কিন্তু বিভিন্ন প্রদর্শনীতে নানান কৌশলের মাধ্যমে কাপড়, পশুর চামড়া, প্ল্যাস্টিক অথবা অন্যান্য বস্তুর উপরও এগুলো তৈরি করা হয়।
এই প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ ও ভারতের ২৪ জন্য প্রখ্যাত সমকালীন প্রিন্টমেকিং শিল্পীর শিল্পকর্মের পাশাপাশি দুই মহান আধুনিক শিল্পী ভারতের প্রয়াত সোমনাথ হোরে এবং বাংলাদেশের প্রয়াত সাইফুদ্দিন আহমেদের শিল্পকর্ম স্থান পায়। দ্য আর্ট রুটের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রদর্শনীর কিউরেটর লুবনা সেন বাসসকে বলেন, ভারতীয় উপমহাদেশে প্রিন্টমেকিংয়ের উপর সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে এই প্রতিপাদ্য নির্বাচন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতি ঐতিহাসিক ও কালানুক্রমিকভাবে সব সময়ই পরস্পরের সাথে ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। লুবনা বলেন, ‘এই অভিন্ন ইতিহাস চিত্র শিল্প ও প্রিন্টমেকিং উন্নয়নেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।’
প্রদর্শনীতে বাংলাদেশী শিল্পীদের মধ্যে আবুল বারাক আলভি, আনিসুজ্জামান, মাহমুদুল হক, মনিরুল ইসলাম, নগরবাসী বর্মন, রফিকুন নবী, রশিদ আমিন, রোকেয়া সুলতানা, এসএম রোকনুজ্জামান, সাইদুল হক জুইসি, শহীদ কবির ও ওয়াকিলুর রহমানের চিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে।
ভারতীয় শিল্পীদের মধ্যে অজিত শীল, আনন্দময় ব্যানার্জী, অনন্ত নিকাম, দত্তাত্রেয়া আপতে, কবিতা নায়ার, মোতি ঝারোটিয়া, শলীল সাহনী, সুখবিন্দর সিংহ, সুরেন্দ্র কে মিশরা, শুশান্ত গুহ, বিজয় বাগোদী ও ওয়াল্টার ডি’সুজার চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে।
দর্শনার্থীদের অধিকাংশই বিভিন্ন আর্ট ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এবং শিল্পপ্রেমী।