ব্যাটিং ব্যর্থতাকে দুষলেন রিয়াদ

321

লাহোর, ২৫ জানুয়ারি ২০২০ (বাসস) : কোনরকম লড়াই ছাড়াই এক ম্যাচ বাকী থাকতেই পাকিস্তানের কাছে টি-২০ সিরিজ হার নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে হারের পর আজ সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারের লজ্জা পায় টাইগাররা। ফলে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে যায় পাকিস্তানের। দ্বিতীয় ম্যাচে তামিম ছাড়া আর কেউই ভালো খেলতে পারেনি বলে জানালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
সিরিজ বাঁচানোর মিশনেও টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংকে বেছে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। শুরুটা ভালো হয়নি টাইগারদের। ৪১ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে টাইগাররা। দলকে সেই চাপ থেকে মুক্ত করতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন ওপেনার তামিম ইকবাল। কিন্তু টি-২০ মেজাজে নিজেকে মেলে ধরতে পারছিলেন তামিম। তবে উইকেটে দীর্ঘক্ষণ কাটানোর পর দ্রুত রান তোলায় মনোযোগি হন তিনি। ৪৪ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তামিম। অর্ধশতকের পর মারমুখী মেজাজে রানের গতি বাড়িয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ৫৩ বলে ৬৫ রান করে আউট হন তিনি। তার এই ইনিংসের পরও পাকিস্তানের সামনে বড় টার্র্গেট ছুঁড়ে দিতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচের স্কোরকেও স্পর্শ করতে পারেনি টাইগাররা। ৬ উইকেটে ১৩৬ রান করে মাহমুদুল্লাহর দল।
তামিমের পর দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ রান আসে আফিফ হোসেনের ব্যাট থেকে। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ফলে ম্যাচ ও সিরিজ হার বরণ করতে হয় বাংলাদেশকে।
সিরিজ হার নিশ্চিতের ম্যাচে তামিম ছাড়া কেউই ভালো খেলতে পারেননি বলে জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘ব্যাট হাতে আমরা নিজেদের সামর্থ্য দেখাতে পারিনি। শুধুমাত্র তামিমই ভালো খেলেছে। আমাদের অন্তত ১৫০-১৬০ রান করা উচিত ছিলো। তবে সে চেষ্টাটা ছিলো আমাদের। কিন্তু পাকিস্তান বোলারদের অবশ্যই কৃতিত্ব দিতে হবে। আমরা নিজেদের ইনিংসের শেষটা ভালো করতে পারিনি।’
সিরিজ হেরে পাকিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশের মুখে বাংলাদেশ। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে আগামী ২৭ জানুয়ারি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে জয় ছাড়া বিকল্প পথ নেই টাইগারদের। শেষ ম্যাচে ঘুড়ে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করে রিয়াদ বলেন, ‘এখনই নিশ্চিত বলতে পারছি না যে, শেষ ম্যাচে আমরা কোন পরিকল্পনা নিয়ে খেলবো। হয়তো বেঞ্চে থাকা খেলোয়াড়দের পরীক্ষা করে দেখা হবে। তবে আমাদের শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে এবং ম্যাচটাও জিততে হবে।’
পক্ষান্তরে,প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে আউট হলেও, পাকিস্তানের সিরিজ জয়ের ম্যাচে বড় ভূমিকা রাখেন দলের অধিনায়ক বাবর আজম ও মোহাম্মদ হাফিজ। দ্বিতীয় উইকেটে ৯০ বলে অবিচ্ছিন্ন ১৩১ রান যোগ করেন বাবর ও হাফিজ। অবশ্য পাকিস্তানের জয়ের আসল কাজটা করেছেন দলের বোলাররা। তাই ম্যাচ সেরা বাবর নিজ বোলারদের কৃতিত্ব দিলেন, ‘সিনিয়রা ও বোলাররা আমাদের কাজকে সহজ করেছে। প্রথম ম্যাচের মত এবারও ভালো করেছে বোলাররা।’
২০ বল বাকী রেখেই পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন বাবর ও হাফিজ। ৪৪ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় বাবর অপরাজিত ৬৬ ও ৪৯ বলে ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় হাফিজ অপরাজিত ৬৭ রান করেন।