বেগম জিয়ার জামিনের আবেদনের ক্ষেত্রে সরকারের কোন বিশেষ ভূমিকা রাখার সুযোগ নেই : ড. রাজ্জাক

343

টাঙ্গাইল, ২৫ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বেগম জিয়ার জামিনের বিষয়ে বিএনপির বিশেষ আবেদনের ক্ষেত্রে সরকারের কোন ভূমিকা রাখার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, তিনি (খালেদা) এতিমের টাকা চুরি করে বর্তমানে জেলে আছে। কোন রাজনৈতিক কারণে খালেদা জিয়া জেলে যায়নি। সরকার তাকে জেলে পাঠায়নি। জেলে পাঠিয়েছে আদালত। আর সেই আদালত খালেদা জিয়াকে জামিন দেয় না। এখানে সরকারের কি করার রয়েছে।
রাজ্জাক আরো বলেন, বিএনপি এখন বলছে বেগম জিয়ার জামিনের জন্য বিশেষ আবেদন করবে। তাদের বিশেষ আবেদনের ক্ষেত্রে সরকার কোনো ভূমিকা রাখতে পারবে না। সরকারের একটি স্বাধীন অঙ্গ হলো বিচার বিভাগ। তারা যে সিদ্ধান্ত দেবে, তা সরকার মাথা পেতে নেবে।
ড. আব্দুর রাজ্জাক আজ দুপুরে জেলার গোপালপুর সূতী ভি এম পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে উদ্বোধকের বক্তব্যে এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এইচ টি ইমাম।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের এমপি ও তানভীর হাসান ছোট মনির এমপি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বারবার বলছে ঢাকা সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে না। তারা কারচুপির কথা প্রচার করছে। ইভিএম হচ্ছে সবচেয়ে আধুনিক, সর্বশেষ প্রযুক্তি। সেই আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে এই দুই সিটি নির্বাচনে। বর্তমান সরকারের সততা নিয়ে বিএনপি প্রশ্ন করছে।
তিনি বলেন, ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমেই সুষ্ঠ ও সুন্দর হবে। তারা চায় আমরা বলে দেই বিএনপি জয়লাভ করবে। এটা আমরা করতে পারবো না। জনগণ ও ভোটাররাই সকল ক্ষমতার মালিক। সেই ঢাকার সচেতন ভোটাররাই ঠিক করবে আগামীতে তাদের মেয়র কে হবে।
এইচ.টি ইমাম বলেন, আগামী প্রজন্মকে জাতির পিতার আদর্শ সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। জাতির পিতার ছাত্র জীবনের ইতিহাস পড়তে হবে। কিভাবে বড় নেতা ও ভালো মানুষ হওয়া যায়। পড়ালেখার উদ্দেশ্য বড় আমলা হওয়া নয়, শেখ মুজিবের মতো ভালো মানুষ হওয়া। তোমরা জাতির পিতার আদর্শকে লালন করেই মানুষের মতো মানুষ হতে পারবে।
ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে চলতে পারলেই তোমরা বলতে পারবে আমরা বঙ্গবন্ধুর দেশের নাগরিক, আমরা বাঙালি। তোমরা পড়ালেখা করে জাতির পিতার মতো সাহসী নেতা হবে। পড়ালেখার পাশাপাশি জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধে যারা নিজের জীবন দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছেন। বাংলার সেই সাহসী বীর সন্তানদের ইতিহাস, সূর্য সেনের ও প্রীতিলতার ইতিহাস জানতে হবে এবং শিখতে হবে। তারা এদেশের বড় মনের মানুষ ও ত্যাগী নেতা ছিলেন।
এর আগে বিদ্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। পরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। আলোচনা সভা শেষে পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঐতিহ্যে-সাফল্যে শত বছরের অঙ্গিকার নিয়ে বিদ্যালয়ের সাবেক এবং বর্তমান শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হয় পুরো ক্যাম্পাস। এ সময় নানা বয়সী শিক্ষার্থীরা নাচ, গান এবং আড্ডায় মেতে উঠেন।