ভাষণ উন্নয়ন অগ্রগতির বস্তুনিষ্ট দলিল : সরকারি দল

451

সংসদ ভবন, ২৩ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা ভাষণকে উন্নয়ন অগ্রগতির বস্তুনিষ্ট দলিল উল্লেখ করে বলেছেন, রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে সরকারের ১১ বছরের উন্নয়ন-অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেছেন।
গত ৯ জানুয়ারি চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে সরকারি দলের সদস্য আ স ম ফিরোজ তা সমর্থন করেন।
গত ৯ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ ও বছরের প্রথম অধিবেশনের শুরুর দিন সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সংসদে ভাষণ দেন।
রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আজ আলোচনায় অংশ নেন সরকারি দলের মসলিম উদ্দিন, মুহম্মদ শফিকুর রহমান, ফরিদুল হক খান, ইকবাল হোসেন, আবদুল মজিদ খান, এ কে এম ফজলুল হক ও জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক।
আলোচনায় অন্যান্য সদস্যরা বলেন, শেখ হাসিনার নেতেৃত্বে বাংলাদেশ সব সূচকে বিশ্বের অনেক দেশ থেকে এগিয়ে রয়েছে। খাদ্য উৎপাদন, আবাসন, সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, আইন শৃঙ্খলাসহ সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ আজ অনেকের কাছেই বিষ্ময়। বিশেষ করে সামাজিক খাতে অগ্রগতির ফসল হিসাবে দেশের দরিদ্র হার পূর্বের যে কোন সময়ের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ থেকে দারিদ্রতা পুরোপরি বিদায় নিবে।
তারা বলেন, রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে গত ১১ বছরে যে অভ’ততপূর্ব অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে তা সবিস্তারে তুলে ধরেছেন। ভাষণে রাষ্ট্রপতি ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিনত করার যে রূপকল্প তা বাস্তবায়নের সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও অত্যন্ত সাবলিল ভাষায় তুলে ধরেছেন।
সরকারি দলের সদস্যরা আজো বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতির সমালোচনা করেন। তারা বলেন, তারাই এ দেশে হত্যা, সন্ত্রাস, খুন আর দুর্নীতির আর দূর্বৃত্তায়নের রাজনীতির সূচনা করে। তাদের অপশাসন ও দুঃশাসনের কারণেই দেশ বার বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভিশনারী নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশকে সেই নেতিবাচক অবস্থা থেকে তুলে এনে মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে সামিল করেছেন। ২০২১ সালের মধ্যে দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হবে।
ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্য মুহাম্মদ শফিকুর রহমান বলেছেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণার একজন পাঠক ছিলেন মাত্র। তিনি কোথাও কোন যুদ্ধ করেননি। শুধু মোস্তাকের সাথে ষড়যন্ত্র করেছেন। আজ আবার জামাত-শিবির বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে ওঠেছে।