সিনহাকে আদালতে হাজিরা দিতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ

239

ঢাকা, ২২ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাসহ ১১ জনকে হাজিরা দিতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে ৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাসহ ১১ জনকে আদালতে হাজিরা দিতে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেয়া হয়।
বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২০ ফেরুয়ারি মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়।
আজ পলাতক ১১ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল।
এরআগে ৫ জানুয়ারি সিনহাসহ তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দেয়া চার্জশিট আমলে নিয়ে রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত ১০ ডিসেম্বর আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, সাবেক এসইভিপি (মাধ্যমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি) গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, একই এলাকার নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়।
মৃত্যু হওয়ায় চার্জশিট থেকে এক আসামির নাম বাদ দেয়া হয়েছে। এছাড়া নতুন করে একজনের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদি হয়ে গত বছরের ১০ জুলাই দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকায় মামলাটি করা হয়। মামলায় সাবেক ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে ভুয়া তথ্য দিয়ে অন্যের নামে ৪ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে তা এস কে সিনহার ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করার অভিযোগ আনা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, সেই ব্যাংক হিসাব থেকে পরবর্তী সময়ে টাকা স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে পাচার করা হয়।তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। তদন্ত শেষে নতুন করে ফারমার্স ব্যাংকের নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীকে (বাবুল চিশতী) আসামি করা হয়।