ড্র করেও কম গোল হজমের সুবাদে শেষ চারে সিসেলেস

286

ঢাকা, ২০ জানুয়ারি ২০২০ (বাসস) : গোল ব্যবধানে মরিশাসকে পেছনে ফেলে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে সিসেলেস। আজ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র করেছে মরিশাস ও সিসেলেস। কিন্তু গোল ব্যবধানে অর্থাৎ গোল কম খাওয়ার সুবাদে গ্রুপ রানারআপ হিসেবে টুর্নামেন্টের শেষ চারে জায়গা পেয়ে গেছে সিসেলেস।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে গ্রুপের ফেভারিট বুরুন্ডির কাছে ৪-১ গোলে হেরেছিল মরিশাস। অন্যদিকে, একই দলের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছিল সিসেলেস। দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে বুরুন্ডি।
আজকের ম্যাচের শুরুতে পয়েন্টহীন দুই দল মরিশাস ও সিসেলেসের জন্যই উন্মুক্ত ছিল শেষ চারের পথ। ফলে গ্রুপের আজকের ম্যাচটি ছিল এ দু’দলের জন্যই ‘বাঁচা-মরার’ ম্যাচ। র‌্যাংকিয়ে ২৮ ধাপ পিছিয়ে থাকলেও ম্যাচে আধিপত্য ছিল সিসেলেসেরই। যদিও ম্যাচের শুরুর দিকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে মরিশাস। কিন্তু প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে নিজেদের এগিয়ে নেয়ার কৃতিত্ব দেখায় সিসেলেস।
৬ মিনিটের সময় বাঁ প্রান্ত থেকে মিডফিল্ডার বালিসন সতীর্থর উদ্দেশ্যে পাস দিলেও বক্সে ক্লিয়ার করেন সিসেলেসের ডিফেন্ডাররা। পরের মিনিটে এন্তনির কর্ণারে ফরোয়ার্ড বটলারাডরেইনের শট পোস্টে লেগে ফেরত আসায় গোল বঞ্চিত হয় মরিশাস। ১৯ মিনিটে ম্যাচে লিড নেয় সিসেলেস। বক্সের সাইড থেকে সতীর্থর কোনাকোনি পাসে মিডফিল্ডার জারভেইস ওয়ে-হাইভ বুক দিয়ে বল রিসিভ করে ডান পায়ের জোড়ালো শট নিলে গোলরক্ষকের গায়ে লেগে আশ্রয় নেয় জালে (১-০)।
২৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মিডফিল্ডার বারনডন লাবরসির পাসে বল পেয়ে পোস্টের কাছ থেকে শটে গোল করে ব্যবধান বাড়ান সিসেলেসের ফরোয়ার্ড পেরী মনীআই (২-০)। প্রথমার্ধ এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় সিসেলেস।
বিরতির পর ৬০ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে বদলী ফরোয়ার্ড ডারেল ডেমোর শট অল্পের জন্য জড়ায়নি জালে। পরের মিনিটেই ফরোয়ার্ড বটলারাডরেইনকে ফাউল করেন সিসেলেসের ডিফেন্ডার মাথিহিওট। মরিশাসের ফ্রি কিক কর্ণারের বিনিময়ে এ যাত্রায় দলকে রক্ষা করেন সিসেলেসের গোলরক্ষক ইয়ান আহ কক। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। কারণ ওই কর্ণার থেকেই এক গোল আদায় করে নেয় মরিশাস।
৬৬ মিনিটে কর্ণার থেকে বক্সে বল পেয়ে লাফিয়ে উঠে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন মরিশাসের বদলী ফরোয়ার্ড এলেক্স জেসন (২-১)। ৮২ মিনিটে দশ জনের দলে পরিণত হয় সিসেলেস। কারণ দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ডিফেন্ডার জুনিনহো। ইনজুরি টাইমে (৯০+১) মিনিটে ফরোয়ার্ড পারলের কোনাকোনি পাস থেকে শটে লক্ষ্যভেদ করে ম্যাচে সমতা আনেন মিডফিল্ডার এডরেইন ফ্রাংকোইস (২-২)।
ম্যাচ শেষে দু’দলের ফুটবলারদের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে স্বল্প সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
আগামী ২২ জানুয়ারি প্রথম সেমি-ফাইনালে এ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিনের মোকাবেলা করবে সিসেলেস। ২৩ জানুয়ারি দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে বি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন বুরুন্ডির মুখোমুখি হবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। দুটি ম্যাচই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিকেল ৫টায় শুরু হবে।