সারাদেশে ৪,৫০১টি ইউনিয়নে ৫ হাজারের অধিক ডিজিটাল সেন্টার চালু রয়েছে : কৃষিমন্ত্রী

265

সংসদ ভবন, ৮ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, বর্তমানে সারাদেশে ৪ হাজার ৫০১টি ইউনিয়নে ৫ হাজারের অধিক ডিজিটাল সেন্টার চালু রয়েছে।
তিনি আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য এম, আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনগণের দোরগোড়ায় সহজে, দ্রুত ও স্বল্প ব্যয়ে সেবা পৌঁছে দিতে ২০১০ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশব্যাপী সকল ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার, সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালে চালু হয় নগর ডিজিটাল ও পৌর ডিজিটাল সেন্টার।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, স্থানীয় জনগণকে ডিজিটাল সেন্টারগুলোতে সেবা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সরকারি ৩৯টি দপ্তরের প্রায় ৪২৪টিরও অধিক সেবা প্রদান পদ্ধতি সহজিকরণ করা হয়েছে এবং এ সকল সেবা সম্পর্কিত তথ্য সন্নিবেশিত করে একটি সেবা পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে। ডিজিটাল সেন্টারে প্রায় ৪৩টি সরকারি সেবা যুক্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, গত বছর প্রায় ৮ কোটি ৪০ লাখ সেবা প্রদান করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩ কোটি ৬০ লাখ ছিল সরকারি সেবা। সরকারি দপ্তরের বিভিন্ন ই-সেবাকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ডিজিটাল সেন্টারের সেবা তালিকার সাথে একীভূত করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, এদিকে ডিজিটাল সেন্টার থেকে সেবা প্রদানের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা গত বছর প্রায় ৮৩ লাখ ডলার সমপরিমাণ আয় হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের মাঝে যেন সঞ্চয়ী মনোভাব তৈরি হয়, সেজন্য ইতোমধ্যে দেশের ৩ হাজার ডিজিটাল সেন্টার থেকে কয়েকটি ব্যাংকের মাধ্যমে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনা হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, গত বছর প্রায় ৯৭ হাজার ব্যাংক একাউন্ট খোলা হয়েছে। এতে প্রায় ৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার সমপরিমাণ লেনদেন এবং ৯৫ লাখ ডলার সমপরিমাণ রেমিটেন্স অর্জিত হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ইউলিটি বিল এই এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ডিজিটাল সেন্টারে আর্থিক সেবা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এতে সরকারের ৫৪ হাজার কোটি টাকা ভাতা ডিজিটাল সেন্টার থেকে সহজে ভাতাভোগীদের মাঝে পৌঁছে যাবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ডিজিটাল সেন্টারগুলোতে ‘এসিস্টেড রুরাল ই-কমার্স’ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। গত ৩ মাসে প্রায় ৪ হাজারেরও বেশি জনগণ উদ্যোক্তাদের সহায়তায় প্রয়োজনীয় ওষুধ, বই-পুস্তকসহ অন্যান্য পণ্যসামগ্রী ক্রয়-বিক্রয় করেছে। এছাড়াও ডিজিটাল সেন্টারে বসে এখন জনগণ বাস, ট্রেন, বিমানের টিকিট কিনতে পারছে।