বাসস দেশ-১২ : চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষায় কর্ণফুলীকে বাঁচানোর কোনো বিকল্প নেই : মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম

132

বাসস দেশ-১২
সংসদীয় কমিটি-পরিদর্শন
চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষায় কর্ণফুলীকে বাঁচানোর কোনো বিকল্প নেই : মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম
চট্টগ্রাম, ১৭ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষার জন্য কর্ণফুলী নদীকে বাঁচানোর কোনো বিকল্প নেই।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্যরা আজ শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দর এলাকা পরিদর্শনকালে কমিটির সভাপতি হিসেবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
দখল ও দূষণের কবলে পড়ে ক্রমেই নাব্যতা হারাচ্ছে কর্ণফুলী নদী-এ কথা উল্লেখ করে মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বলেন, এরফলে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। কর্ণফুলী’কে বাঁচাতে নদীর দু’পাড়ে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা দ্রুত উচ্ছেদের জন্য তিনি নির্দেশনা প্রদান করেন।
কমিটির সদস্যরা নির্মাণাধীন পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল, নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল,চট্টগ্রাম কন্টেইনার টার্মিনাল ও কর্ণফুলী চ্যানেল পরিদর্শন করেন।
কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে এসব এলাকা পরিদর্শনের সময় কমিটির সদস্য রণজিৎ কুমার রায়, মাহফুজুর রহমান, এম আবদুল লতিফ, ডা.সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল ও এসএম শাহজাদা ছাড়াও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবদুস সাত্তার,উপ-সচিব বেগম মালেকা পারভীন, ড. দয়াল চাঁদ ম-ল, জাতীয় সংসদের উপ-পরিচালক আবদুল জব্বার ও সিনিয়র সহকারী সচিব এস এম আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
নদী এলাকা পরিদর্শনকালে ৩/৪টি পয়েন্টে সৃষ্ট ডুবোচর কমিটির সদস্যদের নজরে আসলে তাৎক্ষণিকভাবে এসব ডুবোচর অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয়।
এসময় বন্দর কর্মকর্তারা জানান, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে পলিথিন ও অপচনশীল দ্রব্যের কারণে নাব্যতা সংকট তৈরি হচ্ছে। সংসদীয় কমিটি দূষণরোধে কার্যকর ব্যবস্থা ও ড্রেজিংয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বে-টার্মিনাল দ্রুত বাস্তবায়ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে শিগগির বৈঠক করে এ প্রকল্পকে ফার্স্ট-ট্র্যাকে আনার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান সংসদীয় কমিটির সদস্যরা।
বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল) ক্যাপ্টেন মহিদুল হাসান চৌধুরী,হারবার মেরিন কমডোর শফিউল বারী, চিফ হাইড্রোগ্রাফার কমান্ডার এম আরিফুর রহমান, সচিব মো. ওমর ফারুক, ডেপুটি ম্যানেজার (এস্টেট) জিল্লুর রহমান ও উপ-সচিব আজিজুল মাওলা কমিটির সদস্যদের সাথে ছিলেন।
সংসদীয় কমিটির সদস্যদের আগামীকাল শনিবার সাগরপথে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর এলাকা পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।
বাসস/কেএস/জেডআরএম/১৮১০/শআ