উৎসবমুখর পরিবেশেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : তাপস

158

ঢাকা, ১৫ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : আসন্ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অংশগ্রহণমূলক উৎসবমুখর পরিবেশেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ।
তিনি বলেন, “প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অংশগ্রহণমূলক উৎসবমুখর পরিবেশে সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আশা করি খুব সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনটি সম্পন্ন হবে।”
তাপস আজ রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ধোলাইপাড় উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, শানজিদা খানম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, যুবলীগ সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা লায়ন ওবায়দুর রহমান বাদল, মতিয়ার রহমান বাদশা, মোহাম্মদ ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, মেয়র নির্বাচিত হতে পারলে তিনি উন্নত ঢাকা গড়ে তুলবেন । পাঁচটিভাগে ভাগ করে উন্নয়নের যে রূপরেখা দেয়া হয়েছে ঢাকাবাসী সেটা সাদরে গ্রহণ করছে। ঢাকাবাসীর কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
তাপস বলেন, ঢাকাবাসী আমাকে ভালবাসায় আলিঙ্গণ করে নিচ্ছেন। তারা স্বত:র্স্ফুভাবে প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছে। বিশ্বাস করি আগামী ৩০ জানুয়ারি বিপুল ভোটে নৌকার বিজয় হবে। ঢাকাবাসীর প্রত্যাশা পূরণে দায়িত্ব পাওয়ার প্রথম দিন থেকেই কাজ আরম্ভ করবেন বলে জানান তিনি।
নির্বাচিত হলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বুড়িগঙ্গা নদী সংরক্ষণ ও ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সৌন্দর্য বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে ৩০ বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনা নেয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গা নদী এবং নদীর পাড় সংরক্ষণের মহাপরিকল্পনা নেয়া হবে। বুড়িগঙ্গার পাড় দিয়ে যাতায়াত ব্যবস্থা, বিনোদনমূলক নান্দনিক পার্ক, হাঁটার ব্যবস্থা, খেলার মাঠ, সাইকেল চালানো এবং ঘোড়ার গাড়ি চলার ব্যবস্থা করা হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে একটি দুর্নীতিমুক্ত সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই তার লক্ষ্য উল্লেখ করে তাপস আরো বলেন, পুরো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়াকেই আধুনিক করা হবে। বাংলাদেশের চেয়ে অনেক গরিব দেশও বর্জ্য নদীতে বা মুক্ত সড়কের ওপর ফেলে না।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালকে লক্ষ্য রেখে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশের উপযোগী করে রাজধানী গড়ে তোলা হবে। ৯০ দিনের মধ্যে ঢাকাবাসীর সকল মৌলিক সুবিধাগুলো তাদের দোরগড়ায় পৌঁছে দেয়া হবে।