বাসস দেশ-১৮ : কৃষিজমি রক্ষায় সরকার আইন প্রণয়ন করছে : গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী

330

বাসস দেশ-১৮
কৃষিজমি-ইটভাটা
কৃষিজমি রক্ষায় সরকার আইন প্রণয়ন করছে : গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী
ঢাকা, ৭ জুলাই ২০১৮ (বাসস) : গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, কৃষিজমি রক্ষায় সরকার নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘কৃষিজমি নষ্ট করে ইটভাটা ও শিল্পকারখানা স্থাপন বা বাড়িঘর নির্মাণ করা যাবে না। এজন্য সরকার আইন প্রণয়ন করছে। এ আইন প্রণয়ন হলে জমির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা যাবে।’
মন্ত্রী আজ ‘পোড়ানো ইটের বিকল্প বিষয়ে সহায়ক নীতিনির্ধারণে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল মিলনায়তনে প্রোমোটিং সাসটেইনেবল বিল্ডিং ইন বাংলাদেশ এ সেমিনারের আয়োজন করে।
গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, ইট তৈরি করতে গিয়ে ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগের মাটি নষ্ট করে ফেলা হচ্ছে। এরফলে কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে এবং উৎপাদন কমে যাবে। দেশ ভবিষ্যতে খাদ্যসংকটে পড়বে। তিনি বলেন, সরকার ইমারত নির্মাণ বিধিমালা সংশোধন করেছে। সংশোধিত এ বিধিমালায় পোড়া ইটের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের শর্ত আরোপ করা হয়েছে। নির্মাণকাজে পোড়া ইটের ব্যবহার ২০২০ সালের মধ্যে বন্ধ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জন করতে হলে সকলকে সচেতন হতে হবে। পোড়া ইটের বিকল্প হিসেবে হাউস বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এইচবিআরআই) স্যান্ড-সিমেন্ট ব্লক উদ্ভাবন করেছে। পোড়া ইটের চেয়ে এ ব্লক অধিক সাশ্রয়ী এবং টেকসই।
তিনি বলেন, সরকার কৃষিজমি সুরক্ষায় সচেষ্ট রয়েছে। মিরসরাইয়ে দেশের বৃহত্তম অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে কোন কৃষিজমি নেয়া বা নষ্ট করা হয়নি। অথচ মিরসরাই এলাকায় অনেক বড় বড় শিল্প মালিকেরা কৃষি জমি কিনে শিল্পস্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। সেগুলোতে শিল্পস্থাপনে বাঁধা দেয়া হচ্ছে। কৃষিজমি সুরক্ষায় সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে এবং স্যান্ড-সিমেন্ট ব্লকের ব্যবহারকে জনপ্রিয় করে তুলতে কাজ করতে হবে।
জাতীয় অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, বুয়েটের গ্রিন আর্কিটেকচার সেলের সমন্বয়ক ড. মো. আশিকুর রহমান জোয়ার্দ্দার, এইচবিআরআই-এর পরিচালক মোহাম্মদ শামীম আখতার ও অক্সফাম ইন বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর এম বি আখতার।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে আয়োজক সংস্থাসমূহের প্রতিনিধি ছাড়াও জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত অধিদপ্তর, রাজউকসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বাসস/সবি/এমএসএইচ/১৯২৩/-শহক