বিশ্ব ইজতেমার আখেরী মোনাজাতে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ

1788

ঢাকা, ১২ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র হজের পরে বিশ্বে মুসলমানদের বৃহত্তম জমায়েত টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে আয়োজিত ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতে শরিক হয়েছেন।
ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারী বাসভবন গণভবনে আজ সকালে মোনাজাতে শরিক হন।
ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা গণভবন থেকে মোনাজাতে শরিক হন।
এ উপলক্ষে বিশেষ মোনাজাতে দেশের জন্য অব্যাহত শান্তি ,অগ্রগতি এবং কল্যাণ কামনার পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর ঐক্য কামনা করা হয়।
কাকরাইল মসজিদের সিনিয়র ইসলামিক ব্যক্তিত্ব হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের বাংলা ও আরবী উভয় ভাষায় ৩৫ মিনিট মোনাজাত পরিচালনা করেন।
২,০০০ বিদেশীসহ লাখ লাখ মুসল্লী রাজধানীসহ দেশজুড়ে শৈত্যপ্রবাহের বিরূপ আবহাওয়া উপেক্ষা করে এই বিশ্ব ইজতেমায় শরিক হয়েছেন।
শুক্রবার ভোরে ফজর নামাজের পর আমবয়ানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব ইজতেমার প্রায় পর্যায় শুরু হয় এবং আজ আখেরী মোনাজাতের মাধমে তা শেষ হয়েছে।
প্রথম পর্যায়ের ইজতেমার তিন দিনে বিশিষ্ট উলেমা মাশায়েখ পবিত্র কোরান ও সুন্নাহর আলোকে বয়ান করেছেন। এসব বয়ান বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করে শুনানো হয়।
দ্বিতীয় পর্যায়ের ইজতেমা একই স্থানে আগামী ১৭ জানুয়ারি শুরু হবে এবং ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
নয়াদিল্লী ভিত্তিক তাবলীগ-ই-জামাত ১৯৬৭ সাল থেকে টঙ্গীতে ইজতেমার আয়োজন করে আসছে।
দেশ বিদেশ থেকে আগত ক্রমবর্ধমান মুসল্লীদের ব্যবস্থাপনার জন্য ২০১১ সাল দুই পর্যায়ে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।