বাসস দেশ-৩৬ : জেএসসিতে চট্টগ্রামে পাসের হার ও জিপিএ-ফাইভ বেড়েছে

308

বাসস দেশ-৩৬
চট্টগ্রাম-জেএসসি
জেএসসিতে চট্টগ্রামে পাসের হার ও জিপিএ-ফাইভ বেড়েছে
চট্টগ্রাম, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে এবার জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ ফাইভ বেড়েছে। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ আজ মঙ্গলবার দুপুরে বোর্ড মিলনায়তনে ফলাফল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, এবার চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ৬ হাজার ৪১ জন। ২০১৮ সালে পাসের হার ছিল ৮১ দশমিক ৫২ শতাংশ, জিপিএ ফাইভ পেয়েছিল ৫ হাজার ২৩১ শিক্ষার্থী। এবার জেএসসি পরীক্ষায় ২ লাখ ৫ হাজার ৮৭১ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। পাস করেছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৭৩৪ জন।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, বরাবরের মতো এবারও চট্টগ্রাম মহানগরের বিদ্যালয়ে পাসের হার বেশি। অন্যদিকে বোর্ডের আওতাধীন তিন জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলায় পাসের হার বোর্ডের গড় পাসের চেয়ে কম। তবে অন্য জেলা কক্সবাজারে পাসের হার ৮৪ দশমিক ১০ শতাংশ, যা বোর্ডের গড়ের চেয়ে ১ দশমিক ১৭ শতাংশ বেশি। রাঙামাটিতে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৫০ শতাংশ, বান্দরবানে পাসরে হার ৭৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং খাগড়াছড়িতে ৮০ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, ‘আমরা অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে কার্যকর কিছু পদক্ষেপ নেয়ায় জেএসসির ফলাফলে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে অন্যতম ছিল উত্তরপত্র মূল্যায়নে আন্তরিক হওয়ার নির্দেশনা ও শিক্ষকদের জন্য অধিক হারে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।’
গ্রাম ও শহরে বিশেষ করে তিন পার্বত্য জেলায় ফলাফলের তারতম্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সাধারণত নগরীর স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীরা সুযোগ-সুবিধা বেশি পায় এবং অভিভাবকদের সচেতনতা বেশি। এ কারণে ফলাফলে এ পার্থক্য গড়ে ওঠে। পার্বত্য জেলাগুলোতে খুব বেশি প্রশিক্ষিত শিক্ষক নেই, অভিভাবকদের অনেকে দারিদ্র্যের কারণে সন্তানদের যথাযথ গাইড দিতে পারেন না। এ কারণে সেসব এলাকায় ফলাফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।’
এদিকে, নগরীর ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ কলেজিয়েট স্কুল এবারও সর্বোচ্চ জিপিএ-ফাইভ পাওয়ার গৌরব অর্জন করে বোর্ডে শীর্ষস্থান দখল করেছে। পরীক্ষায় অংশ নেয়া ৩৪৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-ফাইভ পেয়েছে ২৯৩ জন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ৩২৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-ফাইভ ২৭৮ জন। তৃতীয় বাংলাদেশ মহিলা সমিতি উচ্চ বিদ্যালয়। এ স্কুল থেকে ৫০২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ২৪১ জন জিপিএ ফাইভ পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে।
বাসস/কেএস/কেসি/২০৩০/কেজিএ