বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ : সরকার সব ধর্মের মানুষের কল্যাণে কাজ করছে : প্রধানমন্ত্রী

425

বাসস প্রধানমন্ত্রী-২
শেখ হাসিনা-বড়দিন-শুভেচ্ছা
সরকার সব ধর্মের মানুষের কল্যাণে কাজ করছে : প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তাঁর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, সরকার জাতি ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব ধর্মের মানুষের কল্যাণে কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল এমন এক অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা যেখানে সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার থাকবে। তাঁর নীতি অনুসরণ করেই আমরা সকলের জন্য কাজ করছি।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করছে এবং আপনারা সবাই সমান অধিকার নিয়েই বসবাস করবেন।’
শেখ হাসিনা আজ বিকেলে গণভবনে শুভ বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশস্থ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এবং জনগণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিমিময়কালে একথা বলেন।
‘সব ধর্মের মানুষকে সরকার সমান চোখে দেখে’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের উন্নয়ন কর্মসূচি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য, সকলের কল্যাণেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহারণ টেনে তিনি বলেন, ‘এই বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করবে, সমান সুযোগ নিয়ে বসবাস করবে। আমরা সেই নীতিতে বিশ্বাস করি।’
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও মুসলমানদের উপর হামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করবে।’
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কলাণে তাঁর সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরাই খ্রিস্টান কল্যাণ তহবিল গঠন করি এবং কল্যাণ তহবিলে পাঁচ কোটি টাকা সীড মানি দিয়েছি।’
মহান মুক্তিযুদ্ধে সব ধর্মের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাকিস্তানী হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘ধর্ম-বর্ণ সকল মানুষ এক হয়ে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। কাজেই আমরা চাই এই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনাতেই গড়ে উঠবে।’
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জন্য ট্রাস্ট ফান্ড গঠন এবং মুসলমানদের মতো পিতার সম্পত্তিতে কন্যার অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ তাঁদের কল্যাণে বর্তমান সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি খ্রিস্ট ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সম্প্রসারণে এগিয়ে আসার জন্য খ্রিস্ট সম্প্রদায়ের সামর্থ্যবান ব্যক্তিবর্গের প্রতিও অনুরোধ জানান।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের সকল খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের বড় দিনের শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, ‘মানব ধর্ম সবচেয়ে বড় ধর্ম এবং আমরা সে ধর্মতেই বিশ্বাস করি।’
খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বড় দিনের কেক কাটেন শেখ হাসিনা এবং তাঁদের সঙ্গে বড়দিনের সঙ্গীতে কন্ঠ মেলান।
প্রধানমন্ত্রীর হাতে বড় দিনের শুভেচ্ছা কার্ড তুলে দেন কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’ রোজারিও এবং বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- রোমান ক্যাথলিক চার্চ এর বাংলাদেশে সর্বোচ্চ প্রতিনিধি কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’ রোজারিও, বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জুয়েল আরেং এমপি, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এমপি, বাংলাদেশ খ্রিস্টান লীগের সাধারণ সম্পাদক ড্যানিয়েল নির্মল ডি কস্তা প্রমুখ।
সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও।
সঞ্চালনা করেন খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া খ্রিস্ট ধর্মের ক্যাথলিক এবং প্রটেস্ট্যান্ট দুই সম্প্রদায়ের লোকজনের আগমনেই এদিন গণভবন মুখরিত হয়।
বাসস/এএসজি-এফএন/এএইচজে/২০৫৫/-আসাচৌ