প্রকাশ পেলো শিল্পী ইউসুফ আহমেদ খানের গানের ভিডিও

1161

ঢাকা, ৫ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : মৌলিক গানের সংকটের কালে প্রকাশিত হলো নতুন প্রজন্মের মেধাবী শিল্পী ইউসুফ আহমেদ খানের গানের লিরিক্যাল ভিডিও। এটি প্রযোজনা করেছে ‘গানচিল মিউজিক’।
বাংলা গানে নব প্রজন্মের মেলোডি কন্ঠের শিল্পী ইউসুফ হোসেন খান ইতিমধ্যে দেশের সংগীত জগতে শ্রোতাদের মন জয় করেছেন। মঞ্চ, বেতার, ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ সর্বত্র গান পরিবেশন করছেন। শ্রোতারা তার পরিবেশনায় মুগ্ধ হচ্ছেন।
প্রকাশিত অডিওতে দুটি গান রয়েছে। গান দুটি হচ্ছে ‘একটা মন খারাপের দিনে’ এবং ‘সকাল হলো না আমার’। গান দুটির গীতিকার ও সুরকার হচ্ছেন শাখাওয়াত হোসেন মারুফ। সংগীত পরিচালনা করেছেন তানভীর দাউদ রনি এবং শিল্পী ইউসুফ আহমেদ খান। শ্রোতারা গান দুটি জিপি মিউজিক ও বাংলা লিংক ভাইবে উপভোগ করতে পারবেন। এ ছাড়া গানচিল মিউজিকের ইউটিউব চ্যানেলে শুনতে পাবেন।
সংগীত পরিচালক তানভীর দাউদ তার প্রতিক্রিয়ায় শিল্পী ইউসুফ আহমেদ খানের এই পরিবেশনা বিষয়ে বাসসকে জানান, গানের জগতে বর্তমান প্রজেন্মর মেধাবী ও অসাধারণ মেলোডি কন্ঠের শিল্পী ইউসুফ খান। তিনি দীর্ঘকাল বাবা ওস্তাদ ইয়াকুব আলী খানের কাছে উচ্চাঙ্গ সংগীত তালিম নিয়ে গান গাওয়া শুরু করেন। তার প্রকাশিত গানের অডিওটির সংগীত সংযোজন করতে পেরে ভাল লাগছে। এ প্রকাশনায় শ্রোতারা শিল্পীর সংগীত সত্তাকে আরও ভাল করে জানতে পারবেন।
ইউসুফ আহমেদ খানের গানের শুরু মূলত: পরিবার থেকে। তার পিতা ওস্তাদ ও শিল্পী ইয়াকুব আলী খান এবং মা শিল্পী উম্মে জোহরা হক। তারা দুজনেই উচ্চাঙ্গ ও নজরুল সংগীত শিল্পী। ছোটবেলা থেকেই ইউসুফ পিতা-মাতার কাছে উচ্চাঙ্গ ও রাগ সংগীতের তালিম নেওয়া শুরু করেন। সেই থেকে ইউসুফ খান ক্রমে রাগ সংগীত পরিবেশন করতে থাকেন। চ্যানেল আই-এর সেরা কন্ঠে পঞ্চম স্থান লাভ করেন। এর পর শুরু হয় তার বিভিন্ন অংগনে নানা ঘারানার পরিবেশনা। বিভিন্ন টিভিতে একক পরিবেশনায় শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন ইতিমধ্যে।
শিল্পী ইউসুফ খান বাসসকে জানান, তার পিতা ওস্তাদ ইয়াকুব আলী খান দেশের সংগীত জগতে উচ্চাঙ্গ ও নজরুল সংগীতের এক খ্যাতিমান শিল্পী। তিনি পাতিয়ালা আর কিরানা এই দুই ঘারানাকে এক করে গানের জগত সৃৃষ্টি করেছেন ‘মিরপুর ঘারানা’। এখন তিনি পিতার কাছ থেকে এই রাগ তালিম নিচ্ছেন বলে জানান।
গান নিয়ে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা সম্পর্কে ইউুসফ জানান, আসলে আমার ভবিষ্যত পরিকল্পনা বলতে বাবা-মায়ের স্বপ্নের জায়গাটায় পৌছতে চাই। আমার বাবা সব সময়ই চেয়েছেন গানকে সহজভাবে শ্রোতাদের মাঝে তুলে ধরতে। আমারও এটাই চাওয়া। বাংলা গানকে সবার মাঝে তথা বিশ্বের মানুষের কাছে তুলতে ধরতে চাই। আর মায়ের সহযোগিতা না পেলে সংগীতের এই পর্যায়ে আসা সম্ভব হতো না।