বাসস দেশ-৯ : বিজয় দিবস কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত

137

বাসস দেশ-৯
বিজয়-কুচকাওয়াজ
বিজয় দিবস কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জাতি ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করেছে। ু
বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারে বিজয় দিবস কুচকাওয়াজ ২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা জানানো হয়।
কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানান। কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পীকার, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যগণ, সংসদ সদস্যগণ, উর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগণ এবং বৈদেশিক কুটনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মহান বিজয় দিবস কুচকাওয়াজ ২০১৯ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় সশস্ত্র বাহিনীর বিভাগের তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশনের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হয়। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, সশস্ত্র বাহিনী, আধা সামরিক বাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এ কুচকাওয়াজে অংশ গ্রহণ করে।
বিজয় দিবস প্যারেড-২০১৯ এর অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ৯ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং এবং সাভার এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. আকবর হোসেন এবং উপ-অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন ৭১ মেকানাইজড ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ।
কুচকাওয়াজে বিভিন্ন বাহিনীর সর্বমোট ২৪টি কন্টিনজেন্ট রাষ্ট্রপতিকে সালাম প্রদান করেন। কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারী সম্মিলিত যান্ত্রিক বহরের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্বপালন করেন ৯ আর্টিলারি ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রকিব উদ্দিন খান।
কুচকাওয়াজের যান্ত্রিক বহরে সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সম্বলিত অত্যন্ত আকর্ষনীয় ও সুসজ্জিত গাড়ী বহর অংশ গ্রহণ করে। এছাড়া আর্মি এভিয়েশন, নেভাল এভিয়েশন ও র‌্যাব এভিয়েশনের ফ্লাইপাষ্ট, দু:সাহসিক প্যারা কমান্ডো সদস্যদের ফ্রিফল জাম্প এবং স্পেশাল টিম ইনসার্শন এন্ড এক্সট্রেকশন (এসটিআইই) অপারেশন ডিসপ্লে কুচকাওয়াজকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলে।
বিভিন্ন যান্ত্রিক বহরের প্রদর্শনীর পরই শুরু হয় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এক মনোজ্ঞ ফ্লাইপাস্ট ও এরোবেটিক ডিসপ্লে¬। বিমান বাহিনীর ফ্লাইপাস্টের নেতৃত্ব দেন এয়ার ভাইস মার্শাল মো. সাঈদ হোসেন।
প্রথমবারের মতো সশস্ত্র বাহিনীর ব্যান্ড দলের সাথে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্যান্ড কন্টিনজেন্ট দলও এই কুচকাওয়াজে অংশ গ্রহণ করেন। কুচকাওয়াজ শেষে রাষ্ট্রপতি প্যারেডে অংশ গ্রহণকারী সকল কন্টিনজেন্ট কমান্ডারদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
নতুন প্রজন্মের নিকট মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার লক্ষে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারসহ প্যারেড গ্রাউন্ডে আসার পথে সড়কগুলোতে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ ও বিজয় দিবসের চেতনা সম্বলিত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যানার ও বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়। ঢাকা শহরে সার্ক ফোয়ারা হতে জাহাঙ্গীর গেইট, বিজয় স্মরণী, বিজয় চত্বর, গণভবন থেকে রোকেয়া স্মরণী হয়ে আগারগাঁও এবং রাসেল চত্বর হয়ে আমিন বাজার পর্যন্ত ব্যানার ও বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়। এই সকল ব্যানার ও বিলবোর্ডসমূহের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধ তথা বাঙলি জাতির অমর ইতিহাসের ও ঐতিহ্যের প্রতিফলন ঘটানো হয়। এছাড়া, প্যারেড গ্রাউন্ডে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ছাড়াও কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারী সকল বাহিনীর উল্লেখযোগ্য কর্মকান্ডের ছবি প্রদর্শিত হয়েছে।
প্যারেড গ্রাউন্ডের সাজসজ্জায় এবং পোডিয়ামের উভয় পার্শ্বে স্থাপিত বিভিন্ন বিলবোর্ড ও ফেষ্টুনে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক জাতীয় পতাকার লাল ও সবুজ দুটি রং।
বাসস/আইএসপিআর/এমএসএইচ/১৬২৫/-কেএআর