ওয়ালটন, ইমরুল নৈপুণ্যে জয়ের ধারায় ফিরলো চট্টগ্রাম

542

ঢাকা, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : চাঁদউইক ওয়ালটন ও ইমরুল কায়েসের ব্যাটিং নৈপুণ্যে জয়ের ধারায় ফিরলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হওয়া রংপুর রেঞ্জার্সের বাঁ-হাতি ওপেনার মোহাম্মদ নাইমের ৫৪ বলে ৭৮ রানের ইনিংসকে ম্লান করে দিয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেটে জয়ে ধারায় ফিরলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আজ টুর্নামেন্টের সপ্তম ও দিনের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৬ উইকেটে হারিয়েছে রংপুরকে। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৭ রান করে রংপুর রেঞ্জার্স। জবাবে ওপেনার ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওয়ালটনের হাফ-সেঞ্চুরি ও কায়েসের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ইনিংসে ১০ বল বাকী রেখেই জয়ের স্বাদ নেয় চট্টগ্রাম। টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচ জয়ের পর দ্বিতীয়টিতে হেরেছিলো চট্টগ্রাম। অপরদিকে, রংপুরের দুই ম্যাচে অংশ নিয়ে দু’টিতেই হারলো।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেয় চট্টগ্রাম। প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে কাজে লাগানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রংপুরের দুই ওপেনার আফগানিস্তানের মোহাম্মদ শেহজাদ ও মোহাম্মদ নাইম। ৩ ওভারে ২৫ রান তুলে ফেলেন তারা। তবে চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে বিচ্ছিন্ন হন শেহজাদ-নাইম। ৯ রানে শেহজাদকে থামিয়ে চট্টগ্রামকে প্রথম সাফল্য এনে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার কেসরিক উইলিয়ামস।
শেহজাদের বিদায়ের পরও এক প্রান্ত আগলে ঝড়ো গতিতে রান তুলতে থাকেন নাইম। এতে দ্রুততার সাথেই ঘুড়ছিলো রংপুরের রানের চাকা। নাইমের সাথে ছোট-ছোট জুটি গড়েন দলের অন্যান্য ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। সতীর্থদের ব্যর্থতার মাঝে ২৬ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন নাইম। তার ব্যাটিং দৃঢ়তায় ১৩তম ওভারে দলের স্কোরও স্পর্শ করে একশতে।
হাফ-সেঞ্চুরির পরও নিজের ইনিংসটি বড় করছিলেন নাইম। শেষ পর্যন্ত ১৮তম ওভারে থামেন তিনি। ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৪ বলে ৭৮ রান করেন নাইম। এছাড়া অধিনায়ক আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী ১টি করে চার-ছক্কায় ১২ বলে ২১ রান করেন। ফলে ৮ উইকেটে ১৫৭ রানের লড়াই করার পুঁজি পায় রংপুর। চট্টগ্রামের উইলিয়ামস ৩৫ রানে ২টি উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ১৫৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা স্পর্শ করতে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন চট্টগ্রামের দুই ওপেনার ওয়ালটন ও শ্রীলংকার আবিস্কা ফার্নান্দো ৭ ওভার একত্রে ব্যাট করে উদ্বোধনী জুটিতে দলকে ৬৮ রান এনে দেন । এরমধ্যে ৩৭ রান অবদান ছিলো ফার্নান্দোর। ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ২৩ বলের নিজের ইনিংসটি সাজান ফার্নান্দো।
ফার্নান্দো না পারলেও, হাফ-সেঞ্চুরি স্পর্শ করেছেন ওয়ালটন। তবে অর্ধশতকেই থেমেছেন তিনি। ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৪ বলে ৫০ রান করেন ওয়ালটন।
দলীয় ১০৯ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে চট্টগ্রামের দুই ওপেনার। এরপর অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে দলের জয়ের পথ সহজ করেন ইমরুল কায়েস। ইনজুরির কারনে এবারের বিপিএলের শুরু থেকে খেলতে পারেননি মাহমুদুল্লাহ। বল হাতে ১ উইকেট নেয়ার পর ব্যাট হাতেও বেশ স্বাচ্ছেন্দ্যে ছিলেন তিনি। ১টি ছক্কায় নিজের স্বাচ্ছন্দ্যবোধও প্রকাশ করেন মাহমুদুল্লাহ। কিন্তু দলের জয় নিশ্চিত না করেই ফিরতে হয় তাকে। ১৬ বলে ১৫ রান করেন চট্টগ্রামের দলপতি।
এরপর নাসির হোসেনও থামেন ৩ রান করে। তবে জিম্বাবুয়ের রায়ান বার্লকে নিয়ে চট্টগ্রামের জয় নিশ্চিত করেন ইমরুল। ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৩ বলে অপরাজিত ৪৪ রান করেন ইমরুল। বার্লের ব্যাট থেকে আসে ১ রান। রংপুরের ইংলিশ খেলোয়াড় লুইস গ্রেগরি ২টি উইকেট নেন।
দল হারলেও ম্যাচ সেরা হয়েছেন রংপুরের নাইম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
রংপুর রেঞ্জার্স : ১৫৭/৮, ২০ ওভার (নাইম ৭৮, নবী ২১, উইলিয়ামস ২/৩৫)।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স : ১৫৮/৪, ১৮.২ ওভার (ওয়ালটন ৫০, ইমরুল ৪৪*, গ্রেগরি ২/২৭)।
ফল : চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : মোহাম্মদ নাইম (রংপুর রেঞ্জার্স)।