মাথাপিছু আয় আরো বাড়াতে হলে কৃষিকে আধুনিক কৃষিতে পরিণত করতে হবে : কৃষিমন্ত্রী

207

ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, মাথাপিছু আয় আরো বাড়াতে হলে কৃষিকে আধুনিক কৃষিতে পরিণত করতে হবে।
তিনি বুধবার রাজধানীর মনিপুরি পাড়াস্থ খামারবাড়ী কৃষিবিদ ইনস্টিটউশনের কনভেনশন হলে ‘ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান (সিএসএআইপি)’ ও লাইভস্টক এন্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্টের (এলডিডিপি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
পুষ্টির অন্যতম প্রধান উৎস হলো মাছ, মাংস, দুধ ডিম এ কথা উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মাথাপিছু যে গড় আয় তা দিয়ে সবার পক্ষে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা সম্ভব না। মাথাপিছু আয় বাড়াতে হলে কৃষিকে আধুনিক কৃষিতে নিয়ে যেতে হবে এবং প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি করতে হবে। কৃষি-নির্ভর শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে। এর পাশাপাশি উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে হবে।’
তিনি বলেন, কৃষিই এ দেশের কৃষ্টি, অর্থনীতির প্রধান হাতিয়ার। আর জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বিরূপ প্রভাব পড়ে জীববৈচিত্র্যে। নষ্ট হয় কৃষি ও শস্যক্ষেত। নানা ধরনের অসুবিধায় পড়ে পশু-পাখি, হাঁস-মুরগি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু।
সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ সচিব মো. রইছউল আলম মন্ডল।
একসময় বাংলাদেশের বাজেটের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বিদেশি সাহায্য নির্ভর ছিল উল্লেখ করে ড. রাজ্জাক বলেন, বর্তমানে তা ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে পুষ্টিমানের বিষয়টি আগে আসে। তাই প্রতিনিয়ত আমিষের চাহিদা মেটাতে দুধ,মাছ, মাংস ও ডিম উৎপাদনে সফলতা এসেছে। মাঠের কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করা হবে বলেও মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
ড. রাজ্জাক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে কৃষিকে নতুন মাত্রা দিতে কোন অঞ্চলের জন্য কোন ধরনের ফসল প্রয়োজন তা চিহ্নিত করে কৃষির আবাদ করতে হবে।
অন্যান্যের মধ্যে সরকারের যুগ্ম সচিব (ব্লু-ইকোনমি), বিশ্ব ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ডনডেন চেন ও দক্ষিণ এশীয় টেকসই উন্নয়নের আঞ্চলিক পরিচালক জন রোমে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।