বাসস দেশ-১৫ : জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবেলায় তহবিল বৃদ্ধির আহ্বান ডেপুটি স্পিকারের

109

বাসস দেশ-১৫
জলবায়ু-তহবিল
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবেলায় তহবিল বৃদ্ধির আহ্বান ডেপুটি স্পিকারের
ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবেলায় তহবিল বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘পরিবেশের অবক্ষয় প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে যা সমাজের জন্য উচ্চ ব্যয় আরোপ করে। সুতরাং, টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিবেশগত টেকসই একটি মৌলিক বিষয়।’ ডেপুটি স্পিকার আজ দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে ‘ক্লাইমেট চ্যাঞ্জ এন্ড ইন্টারন্যাশনাল কালেক্টিভ এ্যাকশন’ শীর্ষক এশিয়া প্যাসিফিক সংসদ সদস্যদের সম্মেলনে বাংলাদেশ সংসদীয় প্রতিনিধিদল নেতার বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। ঢাকায় প্রাপ্ত আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, ২০১৫ সালে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে উন্নত দেশসমূহ ২০২০ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও প্রশমন সংক্রান্ত পদক্ষেপের জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলিকে সহায়তা হিসাবে যৌথভাবে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা প্রদান করতে সম্মত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবেলায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তহবিল বৃদ্ধি না করলে কয়েক মিলিয়ন মানুষের জীবন ও জীবিকা ঝুঁকির মধ্যে থাকবে।
গ্লোবাল জলবায়ু ঝুঁকি সূচকে বাংলাদেশকে বিশ্বের ষষ্ঠ জলবায়ু বিপর্যয়ের দেশ উল্লেখ করে ডেপুটি স্পিকার বলেন, অনেকগুলি চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে অন্যতম দীর্ঘমেয়াদী হুমকি যা বাংলাদেশের অর্থনীতি, জীবিকা, খাদ্য সুরক্ষা,পরিবেশ এবং সামাজিক পরিকল্পনার সমস্ত দিককে প্রভাবিত করতে পারে। প্রতিবছর জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবের ফলে বাংলাদেশ জিডিপির ২ থেকে ৩ শতাংশ হারানোর ঝুঁকি নিয়ে থাকে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ৩০ মিলিয়ন মানুষ শরণার্থী হতে পারে।
ফজলে রাব্বি মিয়া বলেন,জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাস্তববাদী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশের উদ্যোগের স্বীকৃতি স্বরূপ জাতিসংঘ কর্তৃক ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন যে, জলবায়ু পরিবর্তনে বিনিয়োগ সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্জনে সহায়ক।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, আমাদের সকলের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহের (এসডিজি) উপর জোর দেওয়া উচিত, যা জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলি ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এসময় তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের বিপদজনক হুমকির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সকলের অংশীদারিত্বকে একীভূত করতে একত্রে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
বাসস/সবি/এমএসএইচ/১৬৪৫/-শআ