বাসস দেশ-১৩ : শহীদ মিনারে অজয় রায়ের প্রতি সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদন

126

বাসস দেশ-১৩
অজয় রায়-শ্রদ্ধা
শহীদ মিনারে অজয় রায়ের প্রতি সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদন
ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : একুশে পদকপ্রাপ্ত পদার্থবিজ্ঞানের বরেণ্য অধ্যাপক অজয় রায়কে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়েছে সর্বস্তরের মানুষ।
আজ সকালে রাজধানীর বারডেম হাসপাতাল থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার বেইলি রোডের বাসায়। অজয় রায়ের মরদেহ বাসায় নিয়ে যাওয়ার পর অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন আত্মীয়-স্বজনরা। এসময় ছোট ছেলে অনুজিৎ রায়, পুত্রবধূ কেয়া বর্মন, স্বজন, প্রতিবেশী ও গুণগ্রাহীরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ইস্টার্ন হাউজিং অ্যাপার্টমেন্ট কমিটির পক্ষ থেকে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।
অজয় রায়ের ছেলে অনুজিৎ রায় জানান, বাবার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণার জন্য তার মরদেহ বারডেম হাসপাতালে দান করা হবে৷
বাসা থেকে অজয় রায়ের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। শহীদ মিনারে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা নিবেদন পর্বের শুরুতে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা অজয় রায়কে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।
প্রথমে শ্রদ্ধা জানান জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। এরপর একে একে সর্বস্তরের মানুষ তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শহীদ মিনারে আওয়ামী লীগের পক্ষে অজয় রায়ের মরদেহে শ্রদ্ধা জানান দলের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজীত রায় নন্দী, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা ও উপ-দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া।
শ্রদ্ধা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ ও অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ সামাদ, চিত্রশিল্পী আবুল বারক আলভী, ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহফুজা খানম, জাতীয় জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি শামসুজ্জামান খান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাদেকা হালিম।
বাংলা একাডেমির পক্ষে মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির পক্ষে সভাপতি এ এস এম মাকসুদ কামাল, ওয়ার্কার্স পার্টি, যুব মৈত্রী, ঐক্য ন্যাপের পক্ষে পংকজ ভট্টাচার্য, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), আদিবাসী ফোরাম, বাসদ (খালেকুজ্জামান), হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, জাতীয় কবিতা পরিষদ, ন্যাপ, গণসংহতি আন্দোলন, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন অধ্যাপক অজয় রায়ের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ নাগরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠান।
এরপর তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে। সেখানে বিভাগের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় জগন্নাথ হলে।
সোমবার দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অধ্যাপক অজয় রায়। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। গত ২৫ নভেম্বর থেকে অজয় রায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।
শিক্ষা আন্দোলন মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক অজয় রায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাতাদেরও একজন। সর্বশেষ তিনি নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা ছিলেন।
বাসস/এমএসএইচ/১৬৩২/-শআ