আগামী ৫ বছরে আইটি খাতে দেশে আরো ১০ লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে : আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

419

ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি ঘোষণার পর দেশে বিগত ১১ বছরে তথ্য ও প্রযুক্তি (আইটি) খাতে ১০ লক্ষাধিক তরুণের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
আইটি খাতের এই সম্প্রসারণের ফলে আগামী ৫ বছরে দেশে আরো ১০ লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।
আজ দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচি ঘোষণা দিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
এসময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম আরশাদ হোসেন এবং বাংলাদেশ কলসেন্টার এসোসিয়েশনের সভাপতি ওয়াহিদ শরিফসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
‘সত্য মিথ্যা যাচাই আগে, ইন্টারনেটে শেয়ার পরে’- প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে তৃতীয় বারের মতো আগামী বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) যথাযথ মর্যাদায় জেলা-উপজেলাসহ দেশব্যাপী ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০১৯ উদযাপিত হবে।
এ উপলক্ষে সরকারীভাবে এদিন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
আইসটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণের লক্ষে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের নির্বাচনী ইশতেহারে ২০০৮ সালে ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনুধাবন করে মন্ত্রিসভা বৈঠকে ১২ ডিসেম্বরকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে পালনের অনুমোদন দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা ২০১৭ সাল থেকে প্রতিবছর ১২ ডিসেম্বর পালন করা হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তাঁর দৃঢ় সংকল্প ও দূরদর্শিতার জন্যই তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশ্বের বুকে আজ এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্তের নাম বাংলাদেশ। ‘আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিক নির্দেশনায় ডিজিটাল বাংলাদেশ তার পরিপূর্ণ রূপ পেয়েছে।
পলক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির আধুনিকতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি বর্তমানে আমাদের জীবনের অনুষঙ্গ। সাইবার স্পেসে সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে অনেকেই তথ্য আপলোড বা শেয়ার করে তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার করছেন। এজন্য, ডিজিটাল লিটারেসি ও নৈতিকতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা এবং মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যাচাই বাছাই না করে ইচ্ছেমতো তথ্য ছড়িয়ে গুজব সৃষ্টির হাত থেকে সবাইকে সচেতন করার বিষয়টি মাথায় রেখে এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০১৯ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচি সম্পর্কে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম আরশাদ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে জানান, দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হবে। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ আইসিটি বিভাগের সকল কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত থাকবেন।
এদিন সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সকাল ৯টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা হতে বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হবে। র‌্যালীটি খামারবাড়ী হয়ে আবার দক্ষিণ প্লাজায় গিয়ে শেষ হবে। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী র‌্যালীপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
বেলা ৩টায় বসুন্ধরাস্থ ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রাঙ্গণে কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ.কে.এম রহমতুল্লাহ উপস্থিত থাকবেন।
এছাড়াও কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের সকল জেলা, উপজেলায় র‌্যালী, ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ভর সেমিনার, আলোচনা সভা, রচনা ও চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা, অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আমার দেখা ডিজিটাল বাংলাদেশ এর উপর প্রেজেন্টেশন তৈরি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও দেশের বাইরে বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসের মাধ্যমে দিবসটি যথাযথ উদ্যাপিত হবে বলে জানান তিনি।