বাসস রাষ্ট্রপতি-৩ : সকল নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষায় সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

160

বাসস রাষ্ট্রপতি-৩
রাষ্ট্রপতি- মানবাধিকার দিবস
সকল নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষায় সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
ঢাকা, ৯ ডিসেম্বর ২০১৯ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সকল নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
আগামীকাল ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান।
মানবাধিকার সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘মানবাধিকার দিবস’ উদ্যাপনের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানান।
তিনি বলেন, তরুণরা জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার। এ প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য “মানবাধিকার সুরক্ষায় তারুণ্যের অভিযাত্রা” অত্যন্ত সময়োপযোগী।
তিনি বলেন, মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘে মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। এরপর থেকে প্রতি বছর মানবাধিকার বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডিসেম্বরের ১০ মানবাধিকার দিবস পালিত হয়ে আসছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশের ১৯৭২-এর সংবিধানে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সকল মানবাধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়। মানবাধিকার সুরক্ষাকল্পে সরকার ২০০৯ সালে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসাবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠা করে। একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসাবে এ কমিশন মানবাধিকার সুরক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখা রাষ্ট্রের পাশাপাশি সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব ।
‘তিনি বলেন, নারী, শিশু ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীসহ সকল নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে আর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশ ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানে মানবিক ও দায়িত্বশীল নীতির অনন্য নেতৃত্বের স্বীকৃতি হিসাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ খেতাবে ভূষিত হয়েছেন। ২০১৮ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের ৭৩তম অধিবেশনে বাংলাদেশ ১৭৮টি রাষ্ট্রের ভোট পেয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে যা মানবাধিকার রক্ষায় সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, মানবাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের প্রতিকার পাওয়ার পথ সুগম করতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
বাসস/তবি/এমআর/১৯০৫/-কেকে