পুন্ডুরিয়া গ্রামবাসীর ঘুম ভাঙ্গে পাখির ডাকে

425

॥ শাহাদুল ইসলাম সাজু ॥
জয়পুরহাট, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : শীতের সকালে পুন্ডুরিয়া গ্রামবাসীর ঘুম ভাঙ্গে পাখির কিচিরমিচির ডাকে। নানা রংয়ের বর্ণের পাখির ডাকে এখন মুখোরিত পুন্ডরিয়া গ্রাম। দেশি ও বিদেশি পাখির অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে আক্কেলপুর উপজেলার পুন্ডুরিয়া গ্রাম।
আহা আজি এ বসন্তে কত ফুল ফোটে, কত পাখি গায়। এদেশ পাখির দেশ, কত পাখি আছে এই দেশে, কত রূপ! কত রং! কত গান সে পাখিরা জানে। নানা রং রুপের বৈচিত্রময় পাখিরা বাংলাদেশকে রুপময় করেছে। এ রকম বাঙালি কবিরা পাখিদের নিয়ে ছন্দাকারে করেছেন কত রুপের বর্ণনা।
পাখিদের কিচিরমিচির ডাকে পুন্ডুরিয়া গ্রামের মানুষের ঘুম ভাঙ্গে তাই নয়, অনেক দূর থেকে শত শত লোকজন আসেন দেখতে। তাই পুন্ডুরিয়া গ্রাম এখন পাখির গ্রাম নামেও পরিচিতি লাভ করেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পুন্ডুরিয়া গ্রামটি মনোরম ও প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘেরা। ষাটের দশক থেকে এ গ্রামে দেশি বিদেশি নানা জাতের পাখিদের আগমন ঘটে। পাখিদের প্রতি গ্রামের লোকজনের ভালবাসায় তারা খুঁজে পেয়েছে এক অভয়ারণ্য। এখানে বসবাস করা পাখি গুলো ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর পাশাপাশি থাকছেও দলবেঁধে। এদের মধ্যে থাকা রাতচোরা, শামুকখোল, বক, পানকৌড়ি, হারগিলা ও বাদুর অন্যতম। এ সব পাখি দেখতে দূর থেকে আসা লোকজন যেমন খুশি তেমনই খুশি পুন্ডুরিয়া গ্রামবাসী। পাখি দেখতে আসা আব্দুস সালাম বলেন, পাখিদের কথা শুনে বউ, বাচ্চাসহ দেখতে এসেছি। খুব ভাল লাগলো। পাখি গুলোর নিরাপত্তায় সরকারের উদ্যোগ নেওয়া জরুরী বলে মন্তব্য করেন তিনি।
স্থানিয় রায়কালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিনুর রহমান বলেন, পুন্ডুরিয়া পাখি গ্রাম হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। সরকারের সহযোগিতায় দেশি-বিদেশি ওই সব পাখিদের জন্য অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণকরা হয়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, পুন্ডুরিয়া গ্রামের গাছ গুলোতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার পাখির বসবাস। পাখিগুলোকে রক্ষা করার জন্য যাতে কোন রোগ বালাই না হয় সে জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করার পাশাপাশি তদারকি করা হচ্ছে।