সংসদে বাংলাদেশ শিল্প প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ বিল পাস

476

সংসদ ভবন, ৩ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্টারপ্রাইজেস (ন্যাশনালাইজেশন) আদেশ ১৯৭২ রহিত করে প্রয়েজনীয় বিধান সংযোজন করে আজ সংসদে বাংলাদেশ শিল্প প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ বিল-২০১৮ পাস করা হয়েছে।
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন।
বিলে উদ্দেশ্য পূরণে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্টারপ্রাইজেস (ন্যাশনালাইজেশন) আদেশ ১৯৭২ এর অধীনে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশন, বাংলাদেশ টেক্সটাইলস মিলস কর্পোরেশন, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন, বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশন এবং বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন এমনভাবে বহাল রাখার বিধান করা হয়, যেন তা এ বিলের বিধানের অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বিলে প্রত্যেক কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত রাখার বিধান করা হয়।
বিলে একজনকে চেয়ারম্যান করে সরকারের পক্ষ থেকে নির্ধারিত অন্যুন ৬ জন পরিচালকের সমন্বয়ে পরিচালনা পর্ষদ গঠনের বিধান করা হয়। এ পরিচালনা পর্ষদ কর্পোরেশনের সকল কার্য সম্পাদন ও এর সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে।
বিলে পরিচালনা পর্ষদের সভা, কর্মচারী নিয়োগ, বিশেষজ্ঞ, উপদেষ্টা ও পরামর্শক নিয়োগ, কর্পোরেশন কর্তৃক শিল্প প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ, শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সরকারের ক্ষমতা, কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কর্পোরেশনের করণীয়, কর্পোরেশনের অনুমোদিত মূলধন, বাজেট, অর্থ ব্যয়, ঋণ গ্রহণ, কমিটি গঠন, হিসাব ও নিরীক্ষা, বার্ষিক প্রতিবেদন, কর্পোরেশনের অবসায়ন, বিধি-প্রবিধি প্রণয়নের ক্ষমতা, সম্পদ, দায়, কর্মচারী স্থানান্তরের ক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় বিধান করা হয়েছে।
বিলে তফসিলভুক্ত কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান অথবা এর কোন শেয়ার বা স্বত্বাধিকার বা অন্য কোন অধিকার, জাতীয় স্বার্থে সরকার সুবিধাজনক পদ্ধতি ও শর্তে কোন কর্পোরেশন বা ব্যক্তির নিকট বিক্রয় অথবা অন্যবিধ হস্তান্তর করার বিধান করা হয়েছে। তবে বিক্রয় অথবা অন্যবিধ হস্তান্তরের পর চুক্তির শর্ত লংঘন বা শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় ব্যর্থতার জন্য সরকার বিক্রয় ব্যতিত অন্যবিধ হস্তান্তর চুক্তি বাতিল করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ফেরত গ্রহণ করতে পারবে।
জাতীয়করণকৃত সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানের তালিকা বিলের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম ও বেগম রওশন আরা মান্নান বিলের ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলে তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।