ঢাকার চারপাশের নদী রক্ষায় মাস্টারপ্ল্যান শিগগিরই বাস্তবায়িত হবে : এলজিআরডি মন্ত্রী

429

ঢাকা, ৩ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ঢাকার চারপাশের নদীসমূহের স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখতে সরকার খুবই তৎপরতার সঙ্গে একটি সমন্বিত মাস্টারপ্ল্যান গ্রহণের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।
শিগগিরই এ মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকার চারপাশের নদীসমূহ ও কর্ণফুলী নদী দূষণের কবলে পড়ে পরিবেশের জন্য হুমকী হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী অর্পিত দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাসমূহকে দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীসহ ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন সংক্রান্ত কমিটির এক সভায় সভাপতিত্বকালে এসব কথা বলেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে পানি সম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ. জ. ম. নাছির উদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব কবির বিন আনোয়ারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এলজিআরডি মন্ত্রী নদীসমূহের নাব্যতা প্রসঙ্গে বলেন, ‘নাব্যতা না থাকলে নদী তার গতিপথ হারাবে। শুষ্ক মৌসুমে যেমন পর্যাপ্ত পানি প্রবাহ থাকবেনা তেমন বর্ষা মৌসুমেও তীরবর্তী অঞ্চলে জলাবদ্ধতা ও বন্যা দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি বাস্তুসংস্থানের উপরও বিরূপ প্রভাব পড়বে।’
মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত সকল জনপ্রতিনিধিদের সমন্বিতভাবে এ মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেন।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান নদীসমূহের দূষণরোধ ও নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে নদীতীর অবৈধ দখলমুক্ত রাখার উপর জোর দিয়ে বলেন, ‘জনগণের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা এ অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারে।’
পানি সম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু নদী রক্ষায় দ্রুতগতিতে কার্যকরভাবে এ মাস্টারপ্ল্যান গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের কাজ করার আহ্বান জানান।